টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ফের মিড ডে মিলের খাবারে বিষাক্ত প্রাণী! টিকটিকি,আরশোলার পর বাচ্চাদের খাবারের পাতে পড়ল বিছে! অভিযোগ সেই খাবারই পরিবেশন করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। খেতে গিয়ে তা চোখে পড়ে পড়ুয়াদের। স্কুল ছুটির পর সেই ঘটনা জানতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠে। ঘটনাটি জানানো হয় স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে। ঘটনার রেশ গিয়ে পড়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতেও। সেখানেও বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
পড়ুয়ারা জানাচ্ছে, অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবারও বাঁকুড়ার (Bankura) লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠে মিড ডে মিলের রান্না হয়। নির্দিষ্ট সময়ে রান্না করা খাবার পরিবেশনও করা হয় পড়ুয়াদের। খাবার খেতে গিয়েই আতকে ওঠে এক পড়ুয়া। দেখে ভাত, তরকারির সঙ্গে থালায় রয়েছে আস্ত বিছে! ওই পড়ুয়া বিষয়টি স্কুলের স্যর-ম্যাডামদের জানালে, তাঁরা কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ভোররাতে দামোদরে অভিযানে গ্রেপ্তার ১২ বালি পাচারকারী, বাজেয়াপ্ত ৬টি ট্রাক্টর]
তবে স্কুল ছুটি হতেই বিষয়টি জানতে পারেন অভিভাবকরা। এর পরই এলাকার মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে স্কুল ও স্থানীয় লছমনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। অভিভাবক ও স্থানীয়দের তরফে স্কুলের বিরুদ্ধে দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার অভিযোগ তোলা হয়। বিষয়টি জানানো হয়েছে গঙ্গাজলঘাটি ব্লক প্রশাসনকেও।
পড়ুয়া ও অভিভাবকদের দাবি, নোংরা পরিবেশে মিড ডে মিলের (Mid day Meal) রান্না করার ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, বিষয়টি সামনে আসার পরও পদক্ষেপ করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিষয়টিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের এক্তিয়ারভূক্ত বলে দায় এড়িয়েছেন।
অভিভাবকদের প্রশ্ন ওই খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দায় কে নিত? শিশুদের খাবার দেওয়ার সময় কেন খেয়াল করা হল না তাতে কী রয়েছে? কেনই বা দীর্ঘদিন ধরে নোংরা জায়গায় রান্না করা হচ্ছে? তবে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কেউ নেই। বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মেলেনি।