অভিরূপ দাস: আচমকাই বদলি করা হল কলকাতা পুরসভার (KMC) পার্কিং বিভাগের ম্যানেজারকে। পার্কিং ফি দ্বিগুণের পরও সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার কাণ্ডের প্রেক্ষিতে এই বদলি বলে জল্পনা পুরসভার অন্দরমহলে। মঙ্গলবার পুরসভার পার্সোনেল বিভাগ রদবদলের বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
পার্কিং বিভাগের ম্যানেজার অর্ঘ্য শিকদারকে সমাজকল্যাণ বিভাগে বদলি করা হয়েছে। পার্কিংয়ের নতুন ম্যানেজার হয়েছেন অমিতাভ বড়ুয়া। তিনি লাইসেন্স বিভাগের ম্যানেজার পদের সঙ্গে এই দায়িত্ব অতিরিক্ত হিসাবে সামলাবেন। পুরসভা সূত্রে খবর, ৮ মার্চ পার্সোনেল বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে সই করা হয়েছিল। কিন্তু তা প্রকাশ করা হয়নি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে পার্কিং বিভাগের কারও বদলির অর্ডার ছিল না। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় পুরনো তারিখ দিয়ে। সেখানে পার্কিং বিভাগের ম্যানেজারকে বদলি করা হয়েছে। নতুন করে বিজ্ঞপ্তি লেখা হয়নি।
[আরও পড়ুন: স্কুলের মধ্যেই ছাত্রীদের গোপন অঙ্গে হাত শিক্ষকের! বিক্ষোভে উত্তাল রাজগঞ্জ]
এপ্রিলের শুরু থেকে নতুন পার্কিং ফি ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুরসভা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়েছিল তা। ফের বহাল হয়েছে পুরনো ফি। এরই মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পার্কিং ফি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, “ইন্ডিভিজুয়াল লোক কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।” মেয়র আরও বলেন, “আমাকে মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে। ইন্ডিভিজুয়াল কন্ট্রাক্টর, ইন্ডিভিজুয়াল লোক কী বলল তাতে যায় আসে না।” যদিও কারও নাম নেননি মেয়র। সোমবারই তিনি জানিয়েছিলেন, পার্কিং নিয়ে কোনও ফিজিক্যাল টেন্ডার বরদাস্ত করা হবে না। যা হবে সবই অনলাইনে। উল্লেখ্য পার্কিং নিয়ে ঘুঘুর বাসা রয়েছে পুরসভার অন্দরে। সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পার্কিং ফি বৃদ্ধি এবং তা প্রত্যাহার নিয়ে সরগরম বাংলা। প্রথমে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা বাড়ানো হলেও, পরবর্তীকালে দলের সিদ্ধান্তে তা প্রত্যাহার করা হয়। উল্লেখ্য বাজেট চলাকালীন মেয়র পারিষদ (পার্কিং) দেবাশিস কুমার জানান, ফি বৃদ্ধি শুধুমাত্র আয় বাড়াতে নয়। দূষণ কমাতেও তা পরোক্ষে সাহায্য করবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ইঙ্গিত দিয়েছেন এ বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বোঝাবেন। মেয়র বলেছেন, “পার্কিং নিয়ে আর কোনও বিতর্ক নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যাহার করেছি। পরে তাঁর সঙ্গে কথা বলে ঠিক করব।” প্রশ্ন উঠছে, তার মানে কি আগামী দিনে ফের সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে?