সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ, সোমবার থেকে লোকসভায় শুরু হতে চলেছে বাজেট নিয়ে আলোচনা। ইতিমধ্যেই সংসদের ভিতরে ও বাইরে সরকারকে ঘিরে ধরতে প্রস্তুত বিরোধী শিবির। পেট্রল-ডিজেলে সেস থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তদের ‘শূন্য ঝুলি’ নিয়ে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে প্রস্তুত কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি।
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাস ও আকাঙ্ক্ষার বাজেট’, অর্থমন্ত্রীর প্রশংসায় মোদি]
সংসদের অন্দরেই নয়, সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাতে বাইরেও ফ্রন্ট খুলেছে কংগ্রেস। এক অনুষ্ঠানে সোমবার মোদি সরকারকে বিঁধতে তৈরি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁর আক্রমণের বিষয়বস্তু, ‘সরকার বাজেটে যা প্রতিশ্রুতি দিল, তা বাস্তবায়িত হবে কি?’ এদিকে, শুক্রবার রাত থেকেই পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়া নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এখনও বাজেট পাশ হয়নি, তা সত্বেও কীভাবে জ্বালানির দাম বাড়ে? এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “বাজেট পাশ হওয়ার আগেই পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ানো বেআইনি।” সংসদেও এ ব্যাপারে তৃণমূল সোচ্চার হবে বলে জানা গিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বাজেটে এবার মধ্যবিত্তের দিকে তাকায়নি মোদি সরকার। একইসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেচে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থানের তেমন কোনও দিশা নেই। রাজস্ব বৃদ্ধির সুযোগও কম। তাহলে কোন যাদুতে দেশকে ‘নিউ ইন্ডিয়া’য় পরিণত করবেন মোদি?
সোমবার থেকে লোকসভায় শুরু হবে বাজেট বিতর্ক। সরকার আট ঘণ্টার মধ্যে বাজেট আলোচনা শেষ করতে চাইলেও, বিরোধীরা ১০ ঘণ্টার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ ১২ ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সেই মতো আজ লোকসভায় আটটি বিল পেশ করার পর বাজেট নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। রাজ্যসভায় আলোচনা শুরু হবে আগামিকাল, মঙ্গলবার। লোকসভায় আলোচনার শেষে আগামী বুধবার দুপুরে জবাব দেবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। পাশ করাবেন ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষের বাজেট। পাশাপাশি বুধবার রেলের পক্ষ থেকে এবছরের বিস্তারিত কাজের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে খবর। তাই বিরোধী নেতারা প্রশ্ন তুলছেন, একেই পৃথক রেল বাজেট বন্ধ করে দিয়েছে মোদি সরকার। তার উপর রেলের খাতে যে বরাদ্দের কথা ঘোষণা হয়েছে, তা কোথায় কীভাবে খরচ করা হবে, কোন প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ হল, তা জানাতে কেন সময় নিচ্ছে রেল? সব মিলিয়ে একাধিক ইস্যুতে সরকারকে ঘিরে ধরতে প্রস্তুত বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন: বেসরকারিকরণের দিকে ভারতীয় রেল, বাজেটে ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর]