বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: গরুপাচার ও চোরাচালান নিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে জবাবদিহি তলব করেছে সংসদের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে আলোচ্য বিষয় ছিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তথা কেন্দ্রীয় বাহিনী হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) তো বটেই, প্রধান বিরোধী বিজেপির (BJP) এ রাজ্যের সাংসদও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
সোমবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন বিএসএফের ডিজি পঙ্কজকুমার সিং।তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ান ও রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) একযোগে সীমান্তে গরু পাচারের সমস্যার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। এবং এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব যে বিএসএফের (BSF), সে কথাও জোরালভাবে তুলে ধরেছেন বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা রাজ্যে, আগামী সপ্তাহেও বৃষ্টির সম্ভাবনা, বিঘ্নিত হতে পারে পুজোর প্রস্তুতি]
সূত্রের খবর, সীমান্তে গরুপাচারের সমস্যা মেনে নেওয়া হয়েছে বিএসএফের তরফে। তারা যে সমস্যা সমাধানে নানা পদক্ষেপ করছে, তা বিশদ উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা সীমান্তে বিএসএফের জওয়ান দ্বারা ধর্ষণের ঘটনার প্রসঙ্গও বৈঠকে তৃণমূল তুলেছিল। জওয়ানদের এই অপরাধ এবং তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে ডিজি-র সামনেই কমিটির তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জওয়ানদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখার জন্য কমিটির তরফে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলার সীমান্তে গবাদি পশু উদ্ধার হওয়ার পরে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত নকশা পেশ করতেও বলা হয়েছে বিএসএফকে।
এছাড়াও বাংলা সীমান্তে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে তাদের যে তীব্র আপত্তি রয়েছে, সেই বিষয়টিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিশদে তুলে ধরা হয় বলেই সূত্রের খবর। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির নেতৃত্বাধীন কমিটির এটাই ছিল শেষ বৈঠক। চলতি মাসের মধ্যেই সংসদের সমস্ত স্থায়ী কমিটি নতুনভাবে গঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।