সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে ফেসবুক (Facebook)। সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ এনে ফেসবুক বয়কটের ডাক তুললেন নেটিজেনরা। মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে হ্যাশট্যাগ বয়কট ফেসবুক (#BoycottFacebook) এবং ব্যান এফবি ইন ইন্ডিয়া (#Ban_FB_In_India)।
ঠিক কী বিষয়ে উঠেছে অভিযোগ? নেটিজেনদের একাংশ জানাচ্ছে, সনাতন সংস্থা নামের একটি ফেসবুক পেজ ছিল। যে পেজ থেকে মূলত হিন্দু ধর্মের প্রচার, ধর্মীয় বার্তা দেওয়া হত। আচমকাই কোনও অগ্রিম সতর্কতা ছাড়াই সেই পেজটি সরিয়ে দেয় ফেসবুক। এমনকী বিজেপি বিধায়ক রাজা সিংয়ের ফেসবুক পেজেরও বর্তমানে কোনও অস্তিত্ব নেই। আর এতেই চটেছেন নেটিজেনরা। তাঁদের অভিযোগ, জাকির নায়েকের মতো ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’দের পেজ বহাল তবিয়তে থাকে। জিহাদি পাঠ দেওয়া নিয়েও কোনও উচ্চবাচ্য করে না ফেসবুক। কিন্তু হিন্দুদেরই বারবার টার্গেট করা হয়। সেই কারণেই একের পর এক টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এই টেক জায়ান্টকে নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: এবার মাঠের বাইরেও রেকর্ড, বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অনন্য কীর্তি রোনাল্ডোর]
এদিকে, তথ্যপ্রযুক্তি নীতি ইস্যুতে এবার ফেসবুক কর্তাদের সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিল সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত সংসদের স্থায়ী কমিটি। নেটিজেনদের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি এই প্ল্যাটফর্মের যাতে অপব্যবহার না করা হয়, তার জন্য ফেসবুকের নিয়মাবলি খতিয়ে দেখছে এই কমিটি। করোনার কথা উল্লেখ করে প্রথমে কমিটিতে ভারচুয়াল উপস্থিত থাকার প্রস্তাব দিয়েছিল ফেসবুক। কিন্তু তা খারিজ করে কমিটি জানিয়ে দেয়, সশরীরেই আসতে হবে ফেসবুক কর্তাদের।
উল্লেখ্য, ফেসবুক, টুইটার (twitter), ইউটিউব-সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মগুলিকে কেন্দ্রের নয়া তথ্য প্রযুক্তি নীতি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়মগুলি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন না করায় ইতিমধ্যেই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় টুইটারকে। শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই গুগল, ইউটিউব এবং অন্য বড় কোম্পানিগুলিকেও ডেকে পাঠাবে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি।