অর্ণব দাস, বারাকপুর: সাংসদ হয়েই এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে নজর দিলেন পার্থ ভৌমিক। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল উন্নয়নে উদ্যোগী হলেন বারাকপুরের সাংসদ। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের উন্নতি করতে কী কী প্রয়োজন, তা জানতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে শনিবার শ্যামনগর রবীন্দ্রভবনে বৈঠক করলেন পার্থ ভৌমিক। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিধায়ক, পুরসভা ও পুলিশের আধিকারিকরা। রবিবারও একইভাবে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে বৈঠক করবেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)।
এ বিষয়ে সাংসদের বক্তব্য, "এই দুটি হাসপাতালকেই সাংসদ তহবিলের অর্থ থেকে ২ কোটি করে মোট চার কোটি টাকা দেওয়া হবে। দুটি হাসপাতালের উন্নতিকল্পে কিভাবে খরচ হবে তা জেলাশাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, দুটি হাসপাতালে সুপার-সহ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব ঠিক করবেন। আমি সাংসদ হিসেবে চাই মানুষ যেন এই দুই হাসপাতাল থেকে সঠিক পরিষেবা পায়। এলাকার মানুষ এদিন মতামত দিয়েছেন। জেলাশাসক এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) সেই মতামত নথিভুক্ত করলেন। মানুষের থেকে যে কথাগুলি উঠে এল সেগুলোই আমরা বাস্তবায়িত করব। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।"
[আরও পড়ুন: ‘জানি, আমাকেও নৃশংসভাবে মরতে হবে’, অপরাধ নিয়ে অকপট সুবোধ সিং!]
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য এই দুটি হাসপাতালের উপর বারাকপুর (Barrackpore) সংসদীয় এলাকার অসংখ্য মানুষ নির্ভরশীল। তাই বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, হাসপাতাল দুটির পরিকাঠামোর উন্নয়ন করার। সেই দাবি মেনেই বারাকপুরের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর উদ্যোগী হন পার্থ ভৌমিক। এনিয়ে প্রথমে তিনি পর্যায়ক্রমে বৈঠক করেন। তার পর স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে দুটি হাসপাতালই পরিদর্শন হয়েছে। এর পর সাংসদের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পর এদিন জেলাশাসক এবং মহাকুমা শাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে বৈঠক হয়েছে। রবিবার একই রকম ভাবে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়েও বৈঠক হবে।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসক খুনে তুলকালাম আর জি কর, অধ্যক্ষের বিতাড়ন চাইছেন আন্দোলনকারীরা]
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি হাসপাতালের পুরোনো বিল্ডিংয়ে এমারজেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ড তৈরি হবে। সেখানেই ২৪ ঘন্টা ল্যাব-সহ এক্সরে, ইসিজি, ইউএসজির সুবিধা থাকবে। নতুন যন্ত্রাংশ আনা হবে দুটি হাসপাতালে পরিকাঠামো উন্নয়নে। দুটি হাসপাতালেই নতুন ভবন তৈরি করা হবে। সেখানে স্মার্ট ওপিডি কমপ্লেক্স তৈরি হবে। প্রাথমিক আলোচনায় উঠে এসেছে, নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে লেভেল থ্রি ট্রমা কেয়ার ইউনিট-সহ অর্থোপেডিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। আবার ভাটপাড়ায় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তৈরি হবে আই কেয়ার সেন্টার। যেহেতু দুটি হাসপাতালে দূরত্ব বেশি না, তাই দুটি হাসপাতাল এই পরিষেবাগুলির ক্ষেত্রে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে বলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ঠিক হয়েছে।