অর্ণব আইচ: সশরীরে হাজিরা নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষকে ভর্ৎসনা আদালতের। এদিকে, দাঁতের যন্ত্রণায় ভুগছেন পার্থ সঙ্গিনী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁকে জেল হাসপাতালের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো যেতে পারে বলে অনুমতি দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ব্যাঙ্কশালে ইডির বিশেষ আদালতে ভারচুয়াল পদ্ধতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর সঙ্গিনী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যকে ভারচুয়াল পদ্ধতিতে তোলা হয়। সশরীরে হাজিরা দেন অয়ন শীল, শান্তনু ভট্টাচার্য। পার্থ, অর্পিতা-সহ ইডির মামলার অভিযুক্তদের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। তাই আক্ষরিক অর্থে এই বছরের পুজোও পার্থ, অর্পিতাদের কাটবে জেলে। যদিও বুধবার কুন্তলের শুনানির আবেদন জানাবেন তাঁর আইনজীবী।
এদিন বিচারক শুনানির সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেন। কুন্তল দাবি করেন, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে তিনি তা শুনবেন। বিচারক এতে ক্ষুব্ধ হন। তিনি কুন্তলকে ভর্ৎসনা করে বলেন, কুন্তলের আবেদনেই তিনি তাঁকে সশরীরের বদলে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ভারচুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে পেশের অনুমতি দিয়েছেন। আবার তিনি ভারচুয়াল পদ্ধতিতে শুনানির সময়ও উপস্থিত থাকতে চাইছেন, একসঙ্গে সব হয় না। জামিনের শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে হলে বুধবার তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানাতে পারেন। তাতে আইনজীবী রাজি হলে বিচারক বুধবার সকালে কুন্তল ঘোষকে আদালতে তোলার নির্দেশ দেন। বুধবার তাঁর আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন জানাবেন।
[আরও পড়ুন: পোষ্য কুকুরকে গুলি, বাড়িতে আগুন, ক্যামেরাবন্দি ইজরায়েলে হামাস জঙ্গির তাণ্ডব]
এদিকে, ভারচুয়াল পদ্ধতিতে আলিপুর মহিলা জেল থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বিচারককে জানান, তাঁর দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথা। জেলে বলা সত্ত্বেও উপযুক্ত চিকিৎসা হচ্ছে না। তিনি যন্ত্রণায় ভুগছেন। বিচারক জেলের আধিকারিককে জানান, অর্পিতা প্রয়োজনে বাইরে দাঁতের চিকিৎসা করাতে পারেন। তিনি সেইমতো নির্দেশ জারি করছেন। যেহেতু অন্য অভিযুক্তরা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন, তাই ইডির বিশেষ আদালতে তাঁদের জামিনের শুনানি হয়নি।