শেখর চন্দ্র, আসানসোল: মোনালিসা দাসকে (Monalisa Das) অপসারণের দাবিতে, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি যুব মোর্চা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোনালিসা দাসকে শুধু অপসারণই নয়, গ্রেপ্তারেরও দাবি ওঠে। পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে পিএইচডি সংক্রান্ত (PhD Scam) যত দুর্নীতি হয়েছে তার থেকে মুক্ত নন আসানসোলের বেশ কিছু নেতা ও কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা।
বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ২০ কোটিরও অধিক টাকার বিনিময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ছাত্রদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করেন মোনালিসা। যেখানে রাজ্য তথা দেশের ছাত্রছাত্রীরা অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ার জন্য অতীতে বিক্ষোভ করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্য তথা দেশের যোগ্য প্রার্থীদের পিএইচডি পদবি থেকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি পদবি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মোনালিসা।
[আরও পড়ুন; পার্থ-অর্পিতাকে আদালতে পেশের আগে তৎপর ইডি, শান্তিনিকেতনের ‘অপা’য় জোর তল্লাশি]
বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা পান প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের উপরে উঠে যান বিজেপির যুব মোর্চার নেতারা। মঙ্গলবার আসানসোল জেলা যুব বিজেপি আসানসোল পুরনো স্টেশন থেকে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পৌঁছয়। সেখানে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। মিছিলের জেরে জাতীয় সড়ক কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে উঠে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্যানারও খুলে ফেলে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক ঘনিষ্ঠের হদিশ মিলেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম মোনালিসা দাসও। এবার আন্তর্জাতিক ডিগ্রির চক্রে জড়াল তাঁর নামও।