সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘাত প্রত্যাশিতই ছিল। কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি (NEP 2020) এককথায় গ্রহণ করা, স্বাগত জানানো রাজ্যের পক্ষে বিশেষ সম্ভব নয়। ফলে ফের দ্বন্দ্বের আবহ তৈরি হচ্ছে বলে ধারণা করছিল সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। এবার নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে সেই ধারণা খানিকটা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের আপত্তি উপেক্ষা করে, কোনওরকম আলোচনা না করেই নতুন নীতি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কাঙ্খিত ছিল না।
সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রীর তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটিতে (Expert Committee) রয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, সব্যসাচী বসুরায় চৌধুরি, নৃসিংপ্রসাদ ভাদুড়ি। রয়েছেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। এঁরা আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে নতুন শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করে শিক্ষাদপ্তরে রিপোর্ট পেশ করবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর কেন্দ্রের কাছে ফের চিঠি পাঠিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানাতে পারে বলে খবর। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, আসলে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হলে এ রাজ্যে পরিকাঠামোগত কী কী সমস্যা হতে পারে, তা নিয়েই বিশ্লেষণ করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
[আরও পড়ুন: এক ভাবনায় সাজবে তিন ক্লাবের মণ্ডপ! দুর্গাপুজোয় ‘সত্যযুগ’ ফিরছে আবার কলকাতায়]
আগেই যদিও এই শিক্ষানীতির বিরোধিতা করেছে তৃণমূল পরিচালিত অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা। তাদের অভিযোগ, আলোচনা না করেই নীতি প্রণয়ন হয়েছে। বিরোধিতায় নেমেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআইও। বামপন্থী পড়ুয়াদের দাবি, নতুন শিক্ষানীতিতে গরিবরা বঞ্চিত হবে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া মিলছিল না। এবার এ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। এদিন শিক্ষামন্ত্রী এই প্রশ্নও তোলেন, নয়া শিক্ষানীতিতে যে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত আমূল পালটে ফেলা হল, তা প্রয়োগে রাজ্যগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের খরচ কেন্দ্র বহন করবে? ইতিমধ্যে নয়া শিক্ষানীতি রাজ্যে লাগু করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তামিলনাডু প্রশাসন। বাংলার পদক্ষেপ কী হয়, তা অবশ্যই সকলের নজরে থাকবে।
[আরও পড়ুন: ‘পদত্যাগ করার হলে এই চেয়ারে বসতাম না’, জল্পনা ওড়ালেন দিলীপ ঘোষ]
এদিন একই ইস্যুতে রাজ্যপালের উদ্দেশেও কটাক্ষ শোনা গেল শিক্ষামন্ত্রীর গলায়। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সমর্থন করছেন। তাই তাঁকে ‘পদ্মপাল’ বলা ভাল। কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির প্রশংসা করেছিলেন জগদীপ ধনকড়। তাই তাঁকে শিক্ষামন্ত্রীর কটাক্ষের মুখে পড়তে হল বলে মনে করা হচ্ছে।
The post ফের সংঘাতের আশঙ্কা, কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির ফাঁকফোকর খুঁজতে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি পার্থর appeared first on Sangbad Pratidin.