বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতির পদ থেকে তাঁকে দল সরিয়ে দিয়েছে আগেই। এবার নদিয়ার রানাঘাট পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় (Parthasarathi Chatterjee)। বেলা তিনটে নাগাদ রানাঘাট পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার বিপুল চক্রবর্তীর কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার একটা ন্যূনতম আত্মসম্মানবোধ আছে। তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতির পদ থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার আগে শোকজও করা হয়নি। এমনকি টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়নি। কেবলমাত্র আমার বাড়িতে একটা চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা আমার আত্মসম্মানে লেগেছে। আমি মনে করেছি, আমাকে আত্মসম্মানে আঘাত দেওয়ার এটা প্রথম ধাপ। কিন্তু আমি আর পরবর্তী সুযোগ দিতে চাই না। তাই আমি সসম্মানে, স্বেচ্ছায় এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ, ফেব্রুয়ারিতে ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা]
নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “অনেকের ওই চেয়ারের প্রতি লোভ আছে। যাদের লোভ আছে তারা ওই চেয়ারের জন্য লড়াই করুক।” নাম না করে বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য করে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একটা হাউসের মধ্যে একজনকে যখন অযোগ্য বলা হয়েছিল, তিনি কিন্তু সম্মানে আঘাত পেয়েও পদত্যাগ করেননি। কিন্তু আমার আত্মসম্মানবোধ আছে। তাই আমি পদত্যাগ করলাম।” কয়েকদিন আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “যারা যেতে চান, এখনই চলে যান।” দলনেত্রীর ওই কথার পরই তাঁকে দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তারপরই রানাঘাট পুরসভার (Ranaghat Municipality) মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় স্বেচ্ছায় পদত্যাগও করেন। দিনকয়েক ধরে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদান করার জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। তারই মাঝে এই সিদ্ধান্ত জল্পনার রং যে আরও গাঢ় করল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যদিও পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় খোদ জল্পনায় জল ঢেলেছেন। তাঁর দাবি, “আমি এখনও দলে আছি।”