দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: লজে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল সঙ্গীর বিরুদ্ধে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ডাক্তারের চেম্বারে দেহ ফেলে পালাল অভিযুক্ত! জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মৃতার। শুক্রবার বিকেলে ক্যানিংয়ের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযুক্ত পলাতক। দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
মৃত বধূর নাম আমিনা মোল্লা। তিনি ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়া পঞ্চায়েতের গোবরামারী এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর সঙ্গে প্রতিবেশী মহসীন মোল্লার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার দুজনে একটি আবাসিক লজে গিয়ে ওঠেন। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন আমিনা। লজ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহসীন কর্মীদের কাছে এসে আমিনাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য চায়। স্থানীয় ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমিনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, এর পরই সেখানে মৃতদেহ রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
খবর যায় ক্যানিং থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষার পর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লজের এক কর্মী জানান, "এখানে আসার কিছুক্ষণ পরে ওই ব্যক্তি আমাদের জানায় মহিলার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমরা গিয়ে দেখি মহিলা প্রায় অজ্ঞান হয়ে রয়েছেন। আমাদের সাহায্য চাওয়া হয়। ওই ব্যক্তি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে স্থানীয় এক ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যায়।"
মৃত্যুর কারণ ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। হোটেলেই ওই বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে না কি নির্যাতন চালানো হয়েছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ তাঁকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করে পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, "আমিনার সঙ্গে দীর্ঘদিন অবৈধ সম্পর্ক ছিল মহাসীম মোল্লার। এদিন লজে নিয়ে গিয়ে আমিনাকে খুন করেছে।" এছাড়াও মৃতের দেহ থেকে গয়না চুরি করার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। পাশাপাশি, ওই লজের মালিকের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।