সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই প্রকট হয়ে উঠছে পাকিস্তানের (Pakistan) বিদ্যুৎ সংকট। জ্বালানির অভাবে দেশে বিদ্যুৎ তৈরি করা যাচ্ছে না। আর তার ফলে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে ব্ল্যাক আউটের সময়সীমা। যা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছে ১২ ঘণ্টায়। এই পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিচ্ছে শ্রীলঙ্কার কথা। সেখানে মাস তিনেক আগে এমনই তীব্র বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছিল। এদিকে আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে পাক প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, আগামী দিনে ব্ল্যাক আউটের সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।
কেন এই পরিস্থিতি পাকিস্তানে? আসলে দেশে ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে জ্বালানির পরিমাণ। কিছুদিন আগেই তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয় শাহবাজ শরিফ সরকার। বহু অফিসেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জারি হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান রাত দশটার আগেই শেষ করে ফেলার নির্দেশ। এছাড়াও রাস্তার আলো নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিভিয়ে রাখার মতো পদক্ষেপও করা হচ্ছে। সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার। তবে এই সতর্কতা সত্ত্বেও জ্বালানি সংকটে রাশা টানা সম্ভব হচ্ছে না। তাই লাফিয়ে বাড়ছে ব্ল্যাক আউটের সময়সীমা। আঁধারে ডুবে থাকছে ইসলামাবাদ-সহ সেদেশের বহু শহর।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন, দীর্ঘ ১০৪ ঘণ্টা কুয়োয় আটকে থাকার পরে উদ্ধার মূক ও বধির বালক]
পাকিস্তানের অর্থনীতি একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির হার ১৩.৮ শতাংশে পৌঁছেছে। যার ধাক্কায় খাদ্য সংকটও শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছেছে। সদ্য গদিহারা ইমরান আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবার খিদের জ্বালায় আরও জ্বলতে হবে সাধারণ পাক নাগরিকদের। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে মরিয়া নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কিন্তু কাজটা যে খুব কঠিন, তা ক্রমেই টের পাচ্ছেন তিনি। প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ক্রমেই দুর্মূল্য হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে গাঁটের কড়ি খরচা করে লাগাতার তা কিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াও যে কম চ্যালেঞ্জের নয়, তা বুঝতে পেরেই জুনের শুরুতেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এভাবে দুর্মূল্য জ্বালানি কেনা তাঁদের পক্ষে কঠিন। কেননা রাজকোষে অর্থের জোগানেও টান পড়েছে। সব মিলিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে থাকা পাক প্রশাসন এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে চেষ্টা চালালেও কাজটা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে, মত ওয়াকিবহাল মহলের।