সুকুমার সরকার, ঢাকা: নির্বাচনের উত্তাপ বাড়ছে বাংলাদেশে। আর এরমধ্যেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করল শাসক আওয়ামি লিগ ও বিরোধী বিএনপি শিবির৷ ২৪০টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামি লিগ৷ বাকি ৬০টি আসন শরিকদের জন্য ছেড়েছে শেখ হাসিনার দল৷ পিছিয়ে নেই বিএনপিও৷ তারাও ২০৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে৷ বাকি আসন ছেড়েছে জোট শরিকদের জন্য৷ আওয়ামি লিগ চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার অনুমোদিত ৩০০ জন প্রার্থীর নামের তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিল এইচটি ইমামের নেতৃত্বাধীন বিশেষ প্রতিনিধি দল৷ নির্বাচন কমিশনার এম নুরুল হুদার হাতে প্রার্থীদের নামের তালিকা তুলে দেওয়া হয়৷
[শ্বশুরবাড়ি নয়, পৈত্রিক ভিটে গোপালগঞ্জ থেকেই নির্বাচনে লড়বেন শেখ হাসিনা]
সূত্রের খবর, শাসকদল আওয়ামি লিগের পেশ করা ৩০০ জনের প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু চমক আছে৷ অভিজ্ঞ নেতাদের পাশাপাশি থাকছে নতুনদের প্রাধান্য৷ তরুণদের ছাড় দেওয়ায় তালিকার বাইরে রাখতে হয়েছে অনেক প্রভাবশালী, এমপি-মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতাকে৷ ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টিকে পাঁচটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (ইনু)-কে তিনটি ও বাকিদের চাহিদা অনুযায়ী আসন বণ্টন করা হয়৷ মহাজোটের অন্যতম শরিক এরশাদের জাতীয় পার্টিকে ৪২টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
[বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলার তালিকায় হাসিনা]
অন্যদিকে, বিএনপিও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে৷ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির প্রার্থী তালিকায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর মির্জা ফখরুল বলেন, “এই নির্বাচনে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবার নির্বাচন লড়ব৷ আমাদের প্রার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে৷ তবুও হাল ছাড়ছি না৷” একাধিক মামলার দায়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিএনপি চেয়ারপারসন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তিনি জানান, অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় বিএনপি এবার ৩০০ আসনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি।