সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষোভ দেখালেন, তবে বিস্ফোরণ হল না। বুধবারের বারবেলায় প্রাক্তন দলের সর্বময় নেত্রীকে কৌশলে বিঁধলেন মুকুল রায়। জানিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেত্রী হলেও, তিনি দলের চাকর নন। তবে নারদা, সারদা নিয়ে মমতা জানতেন না বলেও প্রাক্তন নেত্রীকে ক্লিনচিট দিয়েছেন মুকুল। অবশ্য তাঁর গন্তব্য নিয়েও যথারীতি ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছেন পদত্যাগী সাংসদ।
[অদ্যই শেষ রজনী! কালই দল ছাড়বেন মুকুল]
নয়াদিল্লিতে বিকেল চারটেয় তিনি কী বলেন তা নিয়ে তুঙ্গে ছিল কৌতূহল। ঠিক চারটেয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় জানালেন কীভাবে দলের উত্থান-পতনের তিনি সাক্ষী ছিলেন। দল তৈরিতে তাঁর কী অবদান তা খোলসা করার পর দলের সর্বময় নেত্রীকে ঘুরিয়ে একহাত নেন মুকুল রায়। রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার পর তিনি জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেত্রী, তবে দলে কেউ চাকর নয়। রাজনৈতিক দলে সবাই সহযোদ্ধা। এই নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পদত্যাগী সাংসদের অভিযোগ তৃণমূলে একনায়কতন্ত্র চলছে। একার নেতৃত্বে কোনও দল পরিচালিত হলে তা দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়। তৃণমূল ছাড়ার কারণ হিসাবে মুকুল রায়ের যুক্তি তৃণমূল কখনও কংগ্রেস, কখনও বিজেপির সঙ্গে গিয়েছে। এমন দলে থাকার কোনও অর্থ হয় না। নীতিগত কারণ দেখিয়ে তৃণমূল ছাড়ার পর বিজেপির পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুকুল রায়। পদত্যাগী সাংসদের দাবি, তিনি বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলে মনে করেন না।
দল ছাড়ার পর কী করবেন তা নিয়ে যথারীতি ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন মুকুল রায়। তাঁর সংযোজন নতুন দল গড়বেন কিনা তিনি তা ঠিক করেননি। দিওয়ালির পর পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। নিজের ক্ষমতা বোঝাতে মুকুল রায় জানান সব জায়গায় তাঁর অনুগামীরা আছেন, রাজ্যের সব বুথ থেকে সাড়াও মিলছে। তবে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে মুকুল রায়ের বক্তব্য, সারদা এবং নারদা কাণ্ডের বিষয়ে কিছু জানতেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন দলের সর্বময় নেত্রীর প্রতি এই মন্তব্য করে তিনি কী বার্তা দিতে চাইলেন তা নিয়ে জল্পনা নতুন করে শুরু হয়েছে। যে দুটি কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিজেপিকে চাপে ফেলতে চাইছে সেই ইস্যুতে মুকুল যেভাবে প্রাক্তন দলের নেত্রীকে যেভাবে ক্লিনচিট দিলেন তাতে জল আরও গুলিয়েছে।
The post কেউ দলের চাকর নন, তৃণমূল ছেড়ে বিষোদ্গার মুকুলের appeared first on Sangbad Pratidin.