shono
Advertisement

করোনা কালে ওয়াইন পার্টি, এবার পার্লামেন্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, করোনা কালে একাধিক পার্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
Posted: 02:08 PM Apr 20, 2022Updated: 02:08 PM Apr 20, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পার্টিগেট বিতর্কে পার্লামেন্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। এর আগে লকডাউনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিধি ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করার দায়ে ২০ জনকে জরিমানা করেছিল লন্ডন পুলিশ। ফলে বিরোধীদের চাপের মুখে এবার আইন প্রণেতাদের সামনে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন জনসন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আমেরিকার হুঁশিয়ারি উড়িয়ে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে চুক্তি চিনের, ঘনাচ্ছে আশঙ্কার মেঘ]

‘পার্টিগেট’ কেলঙ্কারিতে জড়িয়ে নাজেহাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। লকডাউন চলাকালীন নিজের বাড়িতে বসে ওয়াইন পার্টি করে জনবিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। সেই ঘটনায় তদন্তের পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পার্টিতে উপস্থিত থাকা ২০ জনকে জরিমান করেছে মেট্রোপলিটান পুলিশ। এর ফলে ব্রিটিশ রাজনীতিতে প্রবল চাপানউতোর শুরু হয়েছে তা স্পষ্ট। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, জনসনের এহেন কীর্তিতে তাঁর উপর আস্থা হারিয়েছে জনতা।

ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, করোনা কালে একাধিক পার্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তদন্তের পর বরিস দোষী সাব্যস্ত হন। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। তাঁদের সকলকেই জরিমানা করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই ‘শাস্তি’তে সন্তুষ্ট হননি বিরোধীরা। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেন। একই সঙ্গে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলে বিরোধী দল। শেষমেশ চাপের মুখে পড়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বরিস।

উল্লেখ্য, করোনা রুখতে দীর্ঘ দু’বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে। কিন্তু সেই লকডাউন চলাকালীনই খাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যার মধ্যে অন্তত তিনটিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। কয়েক মাস আগে কয়েকটি প্রথম সারির ব্রিটিশ দৈনিকে জনসনের পার্টিতে উপস্থিত থাকার সেই ছবিও ফাঁস হয়ে যায়। তদন্তে নামে পুলিশ।

বলে রাখা ভাল, ‘পার্টিগেট’ কেলঙ্কারিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডাউনিং স্ট্রিটে রিপোর্ট জমা দেন বর্ষীয়ান ব্রিটিশ আমলা স্যু গ্রে। রিপোর্টে বরিস জনসন সরকারের ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’র কড়া সমালোচনা করেছেন আমলা স্যু গ্রে। নিজের রিপোর্টে তিনি স্পষ্ট জানান, এই পার্টিগুলির ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের শীর্ষ স্তরে কর্মরত ব্যক্তিদের যে শৃঙ্খলা মেনে চলা উচিত তা মানা হয়নি। এমনকি সাধারণ ব্রিটিশ নাগরিকদের সেই সময়ে যে শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা তা-ও না। নেতৃত্বের উচিত ছিল কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্টির অনুমতিই না দেওয়া।

[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক ভরাডুবি হয়েছে তাঁর ভুলেই, প্রথমবার ‘দোষ’ স্বীকার গোতাবায়া রাজাপক্ষের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement