shono
Advertisement

পার্টিগেট বিতর্কে বিপাকে বরিস জনসন, লকডাউনে হুল্লোড় ঘিরে ২০ জনকে জরিমানা পুলিশের

লকডাউন চলাকালীন নিজের বাড়িতে ওয়াইন পার্টি করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
Posted: 10:47 AM Mar 30, 2022Updated: 10:47 AM Mar 30, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পার্টিগেট বিতর্কে বিপাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। লকডাউনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিধি ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করার দায়ে ২০ জনকে জরিমানা করেছে লন্ডন পুলিশ। তবে সেই তালিকায় বরিস আছেন কি না, তা এখন স্পষ্ট নয়। কিন্তু লন্ডন পুলিশের এহেন পদক্ষেপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখ যে পুড়েছে তা স্পষ্ট।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেন ইমরান খান, গদি বাঁচাতে মরিয়া পাক প্রধানমন্ত্রী]

‘পার্টিগেট’ কেলঙ্কারিতে জড়িয়ে নাজেহাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। লকডাউন চলাকালীন নিজের বাড়িতে বসে ওয়াইন পার্টি করে জনবিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ সূত্রে খবর, সেই ঘটনায় তদন্তের পর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পার্টিতে উপস্থিত থাকা ২০ জনকে জরিমান করেছে মেট্রোপলিটান পুলিশ। তবে সেই তালিকায় বরিস আছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কাদের জরিমানা করা হয়েছে সেই নামগুলিও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কিন্তু এর ফলে ব্রিটিশ রাজনীতিতে প্রবল চাপানউতোর শুরু হয়েছে তা স্পষ্ট। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, জনসনের এহেন কীর্তিতে তাঁর উপর আস্থা হারিয়েছে জনতা।

উল্লেখ্য, করোনা রুখতে দীর্ঘ দু’বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে। কিন্তু সেই লকডাউন চলাকালীনই খাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যার মধ্যে অন্তত তিনটিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। কয়েক মাস আগে কয়েকটি প্রথম সারির ব্রিটিশ দৈনিকে জনসনের পার্টিতে উপস্থিত থাকার সেই ছবিও ফাঁস হয়ে যায়। তদন্তে নামে পুলিশ।

বলে রাখা ভাল, ‘পার্টিগেট’ কেলঙ্কারিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডাউনিং স্ট্রিটে রিপোর্ট জমা দেন বর্ষীয়ান ব্রিটিশ আমলা স্যু গ্রে। রিপোর্টে বরিস জনসন সরকারের ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’র কড়া সমালোচনা করেছেন আমলা স্যু গ্রে। নিজের রিপোর্টে তিনি স্পষ্ট জানান, এই পার্টিগুলির ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের শীর্ষ স্তরে কর্মরত ব্যক্তিদের যে শৃঙ্খলা মেনে চলা উচিত তা মানা হয়নি। এমনকি সাধারণ ব্রিটিশ নাগরিকদের সেই সময়ে যে শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা তা-ও না। নেতৃত্বের উচিত ছিল কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্টির অনুমতিই না দেওয়া। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্টি যে দিকে গড়িয়েছে সে দিকে এগোতে দেওয়া উচিত হয়নি। যে কোনও পেশাদারি কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে তুলনা করলে ওই পার্টিগুলিতে অতিরিক্ত মদ্যপান হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তারপরই পার্লামেন্টে ক্ষমা চান জনসন। কিন্তু তাঁর ইস্তফার দাবিতে এখনও অনড় বিরোধীরা।

[আরও পড়ুন: কিয়েভে সেনা তৎপরতা কমানোর দাবি মিথ্যা, আক্রমণের ছক কষছে রাশিয়া, দাবি পেন্টাগনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement