শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন বধূ। স্বামীর অবর্তমানে প্রেমিকের সঙ্গে এক বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। জানাজানি হতেই প্রেমিক যুগলকে গণপিটুনির অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ খবর পেয়ে কোনওক্রমে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে তাঁদের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুরে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে প্রেমিক যুগলের উপর নৃশংস অত্যাচারের ভিডিও।
জানা গিয়েছে, ওই বধূর স্বামী কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই বাইরে থাকেন।ফলে শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন তিনি। তাঁদের আদি বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নিরালায় তৈরি হয়েছে নতুন পাকাবাড়ি। মূলত সেই বাড়িতেই থাকতেন বধূ। রান্না-খাওয়া হতো সেখানেই। শাশুড়ি খাওয়ার সময় যেতেন সেখানে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এই সুযোগেই কয়েক দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এক যুবককে রাতের অন্ধকারে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ওই মহিলা। সেখানেই থাকতে শুরু করেছিলেন যুবক। ফলে বাড়ি থেকে বেরলেই ওই বধূ শোওয়ার ঘরে তালা দিয়ে যেতেন। কিন্তু মঙ্গলবার ভুলবশত তালা না দিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি।তখনই মহিলার এক কাকিমা তাঁকে ডাকতে ঘরে ঢুকে দেখেন বিছানায় শুয়ে এক অচেনা যুবক। সঙ্গে সঙ্গে দরজায় শিকল দিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ব্রিগেডের মঞ্চে আব্বাস-অধীরদের ভিড়, জায়গা হল না অশোক ভট্টাচার্যের! ক্ষুব্ধ সমর্থকরা]
এরপরই মহিলা ও ওই যুবককে বেঁধে রেখে চলে গণপ্রহার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দাসপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা উদ্ধার করে ওই যুগলকে।স্থানীয়দের দাবি, যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বধূ। ইতিমধ্যেই ফোনে সমস্ত বিষয় জানানো হয়েছে ভিনরাজ্যে কর্মরত বধূর স্বামীকে। সব শুনে ওই যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। উল্লেখ্য, এই ধরনের নৃশংসতার ঘটনা ঘাটাল ও দাসপুরে নতুন নয়।