সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়েই মগ্ন সকলে৷ জটিল হয়ে গিয়েছে পৃথিবী৷ মানবিকতাও নাকি প্রায় হারাতে বসেছে৷ কিন্তু সেখানেই তুচ্ছ হলেও নিজের কাজের মাধ্যমে মানবিকতার বার্তা দিল আফগান কিশোর৷ সেই এখন হয়ে উঠেছে নেটদুনিয়ার ‘হিরো’৷ তাকে দেখে ধন্য ধন্য করছেন নেটিজেনরা৷
[ আরও পড়ুন: নগ্ন শরীরে স্লোগান লিখে পার্লামেন্টে একদল নারী-পুরুষ, ব্যাপারটা কী?]
বয়স খুবই কম৷ এই বয়সে এখন তার কাঁধে থাকার কথা স্কুল ব্যাগ৷ দিনের অধিকাংশ সময় বই, খাতা, পেন, পেনসিলের সঙ্গে কাটানো প্রয়োজন৷ কিংবা মুখের সামনে তাঁর মা-বাবা কিংবা বাড়ির বড়রা এগিয়ে দেবেন খাবার৷ কিন্তু আফগান কিশোরের জীবন বইছে এক্কেবারে অন্য স্রোতে৷ ছোট থেকেই জীবনটা বড্ড বাস্তবিক তার৷ সেখানে কল্পনার কোনও স্থান নেই৷ তাই তো স্কুল ব্যাগ নয়, পরিবর্তে তার পিঠে জায়গা করে নিয়েছে বিরাট একটি বস্তা৷ নিজের খিদে মেটানোর জন্য প্রতিদিন ঘুমচোখ খুলেই বেড়িয়ে পড়তে হয় তাকে৷ লক্ষ্য একটাই রাস্তায় পড়ে থাকা কাগজ, প্লাস্টিক সংগ্রহ করা৷ বেলায় এসে তা বিক্রি করলে দেখা মিলবে দু’টো টাকার৷ সেই টাকা দিয়ে ভরবে পেট৷ আবার কোনও কোনও দিন সেই টাকা উপার্জন না-ও হতে পারে৷ খাবার না জোটার আশঙ্কা থাকে না তা নয়৷ তাই সে জানে খিদে পেলে কতটা কষ্ট হতে পারে৷
[ আরও পড়ুন: জনমানবহীন দিকশূন্যপুর, নিলামে উঠছে স্পেনের কয়েকশো ভূতুড়ে গ্রাম]
অভাব হয় তো কিশোরের রয়েছে৷ স্কুলে গিয়ে পুঁথিগত শিক্ষা হয় তো পায় না সে৷ কিন্তু তা বলে মানবিকতার পাঠ নিজে নিজে রপ্ত করে নিয়েছে কিশোর৷ তাই তো চোখের সামনে একটি বিড়ালকে না খেতে দেখতে পেয়েও মন কাঁদে তার৷ সারাদিন ধরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে উপার্জন করা কুড়ি টাকা দিয়েই কিনে ফেলে দুধ৷ সেই দুধই যত্ন করে তুলে দেয় বিড়ালের মুখের সামনে৷ বিড়ালের খাবার কিনতে গিয়ে নিজের পেট ভরল না ঠিকই৷ তবে অভুক্ত প্রাণীকে খাওয়াতে পেরে আন্তরিকভাবে খুশি আফগান কিশোর৷
এই ঘটনারই ভিডিও এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল৷ মন কেড়েছে নেটিজেনদের৷ সকলেই ধন্য ধন্য করছে তাকে৷ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্ত্বেও যখন এসব নিয়ে কেউই মাথা ঘামান না, তখন কিশোরের এই কীর্তি মন ছুঁয়েছে নেটিজেনদের৷ বিড়ালের প্রতি কিশোরের এমন নিখাদ ভালবাসা চোখে জল এনে দিয়েছে পশুপ্রেমীদেরও৷