দীপাঞ্জন মণ্ডল: নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের দ্রুত ফাঁসির আরজির মামলার শুনানি স্থগিতের নির্দেশ দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর। আপাতত চারজন সাজাপ্রাপ্তের শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে। তিহারের তিন নম্বর জেলে ফাঁসি দেওয়া হতে পারে তাদের। সেখানে চলছে জোর প্রস্তুতি। এই প্রথমবার একসঙ্গে চারজন সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসি দেওয়ার সম্ভাবনা।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। রাতের দিল্লিতে ফাঁকা বাসে জোর করে তুলে নেওয়া হয় বছর কুড়ির প্যারা মেডিক্যাল ছাত্রীকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক বন্ধুও। ফাঁকা বাসে ওই তরুণীর উপর অমানবিক অত্যাচার চলে। ছ’জন মিলে প্যারা মেডিক্যালের ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় ৫ অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ দেয় নিম্ন আদালত। আর এক দোষী নাবালক ছিল। তাই সর্বোচ্চ তিন বছর জেলে কাটানোর পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলে থাকাকালীনই রাম সিং নামে এক দোষী আত্মহত্যা করে। দিল্লি হাইকোর্টে ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজার আরজি জানায় বাকি তিন দোষী। দিল্লি হাইকোর্টে সেই আরজি খারিজ হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টেও খারিজ হয় এই আবেদন। বর্তমানে সাজা মকুবের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম অপরাধী অক্ষয় ঠাকুর। আগামী ১৭ ডিসেম্বর সেই রায় পুনর্বিবেচনার আরজি শুনবে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: CAB-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া মৈত্র, দ্রুত শুনানির আরজি শুনলেন না প্রধান বিচারপতি]
ইতিমধ্যেই আবার নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে অপরাধীদের দ্রুত ফাঁসির সাজা দেওয়ার পালটা আবেদন জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা। সেই মামলারই শুনানি ছিল শুক্রবার। ওই মামলারই শুনানি আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর আবারও দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে মামলার শুনানি হবে। এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা বলেন, “সুবিচারের আশায় আমরা সাত বছর অপেক্ষা করেছি। আর এক সপ্তাহও না হয় আমরা অপেক্ষা করব। তবে চাইব যেন অপরাধীরা ফাঁসির সাজা পায়।”
The post অপরাধীদের দ্রুত ফাঁসির আরজি নির্ভয়ার মায়ের, স্থগিত মামলার শুনানি appeared first on Sangbad Pratidin.