নন্দন দত্ত, সিউড়ি: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজন রীতিমতো হামলা চালাল হাসপাতালে। ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি কর্তব্যরত ইর্ন্টান চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ।
জানা যাচ্ছে, শনিবার বিকেলে পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন হাবিসপুর গ্রামের বাসিদা আনসারুল শেখ (২৫)। শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় রোগীর। এরপরই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন রোগীর পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান রোগী স্থিতিশীল রয়েছে। তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন নেই। অভিযোগ, তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেন চিকিৎসক। এর পরই খিঁচুনি শুরু হয় রোগীর, এবং মৃত্যু হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন: চণ্ডীগড়ে আদালতের মধ্যে আমলাকে গুলি করে হত্যা! অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশকর্তা শ্বশুর]
এই ঘটনায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে সন্ধ্যায় হাসপাতালের আসে রোগীর পরিবারের একাধিক সদস্য। কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের পাশাপাশি ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালে। প্রচুর ইনজেনকশন ও ওষুধপত্র নষ্ট হয়েছে বলে দাবি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাঁদের সঙ্গেও খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় রোগীর পরিজনের। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
[আরও পড়ুন: ‘রামের অস্তিত্বের কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই’, ডিএমকে নেতার মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে]
রামপুরহাটের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালেও চিকিৎসার গাফিলতিতে লাবনী ঘোষ নামে ৪ বছরের এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ওই শিশুকে শনিবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রায় ২ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় শিশুটিকে। কার্যত বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালে পড়ে থেকে মৃত্যু হয় শিশুটির। ঘটনার পর মৃত শিশুর পরিবার এবং এলাকাবাসীরা রীতিমতো ভাঙচুর চালায় হাসপাতালে।