টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের (Subhas Sarkar) নার্সিংহোমে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। সুভাষবাবুর ছেলেই নাকি ছিলেন ওই রোগীর চিকিৎসার দায়িত্বে। এদিন নার্সিংহোমের সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশের উপস্থিতিতে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। ঘটনাস্থল বাঁকুড়া (Bankura)।
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি পেশায় চিকিৎসক। তাঁর ছেলে সোমরাজও চিকিৎসক। বাঁকুড়ায় সুভাষবাবুর নার্সিংহোমেই কর্মরত তিনি। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার লালবাজার কামারপাড়ার বাসিন্দা মৌসুমী দে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই সোমরাজবাবুর তত্ত্বাবধানেই ছিলেন তিনি। বধূর স্বামী জানান, সিজারের জন্য গত বৃহস্পতিবার ওই মহিলাকে সুভাষবাবুর নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই তিনি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। অভিযোগ, রাত ১১ টার পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শুক্রবার তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নার্সিংহোম থেকেই পাঠানো হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। সোমবার ওই রোগীর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: ‘আপনি শক্তিস্বরূপা’, লাগাতার বিক্ষোভের মাঝেই সন্দেশখালির রেখাকে ফোন খোদ মোদির]
ওই মহিলার মৃত্যু হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, সুভাষবাবুর ছেলের ভুল চিকিৎসার কারণেই মৃত্যু হয়েছে রোগীর। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নার্সিংহোম এর সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থতি। তবে এ বিষয়ে এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।