দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ফের প্রকাশ্যে রোগী পরিষেবার বেহাল দশা। উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Uttarpara State General Hopsital) নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হল চিকিৎসাধীন এক রোগীকে। ঘটনা ঘিরে তুমুল শোরগোল হাসপাতালে। বুধবার রাতে এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে পরিবার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে খবর। কীভাবে ওই রোগী নর্দমার কাছে গেলেন, নিরাপত্তারক্ষীরাই বা কেন তাঁকে দেখতে পেলেন না, এসব প্রশ্ন উঠছেই। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। তবে সংবাদমাধ্যমে ঘটনা নিয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুপার দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেও কোনও উত্তর মেলেনি।
ঘটনা বৃহস্পতিবার রাতের। সময় প্রায় ১১টা। জনা কয়েক যুবক উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পথে দেখতে পান, নর্দমা (drain) থেকে কেউ চিৎকার করছেন। সামনে গিয়ে দেখা যায়, বছর পঞ্চান্নর এক প্রৌঢ়ের হাতে স্যালাইনের চ্যানেল, তিনি নর্দমায় পড়ে আছেন, ওঠার জন্য সাহায্য চাইছেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবকরা হাসপাতালের নজরে আনেন বিষয়টি। জানা যায়, যদু দাস নামে ওই প্রৌঢ় উত্তরপাড়ারই মাতলার বাসিন্দা। পেটের সমস্যা নিয়ে তিনি ভরতি হয়েছিলেন হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: কোটি টাকার বিনিময়ে স্বপ্নপূরণ, রাজ্যের প্রথম শিশমহল বানালেন আসানসোলের ভাস্কর]
বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাওড়ার নিমতার জনাকয়েক যুবক উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই তাঁদের চোখে পড়ে নর্দমায় পড়ে থাকা ওই ব্যক্তিকে। প্রশান্ত মণ্ডল নামে এক যুবক জানান, ”হাসপাতালের নর্দমা থেকে এক ব্যক্তির চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। কাছে গিয়ে দেখি ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছেন তিনি। নার্সকে খবর দিলাম। ওই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: মন্তেশ্বরে কুকুরের কামড়ে জখম কমপক্ষে ৩০, সারমেয়কেও পিটিয়ে মারল জনতা]
আশেপাশের বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই ব্যক্তি পেটে ব্যথা নিয়ে মাঝেমধ্যেই উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি হতেন। তিনি ওয়ার্ড থেকে মাঝেমধ্যে লুকিয়ে বেরিয়ে নেশা করতেন, খানিকটা অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন। প্রাথমিক অনুমান, এবারও তিনি সেই কারণেই ওয়ার্ড থেকে বেরিয়েছিলেন। তবে উদ্ধারের পর ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি মোটেই নেশা করতেন না। হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন সুস্থ হতে, কোনও নেশা করেননি। তবে ব্যাপারটা নিয়ে বেশ শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।