অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: যত কাণ্ড পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Debra Super Speciality Hospital)। এবার ওই হাসপাতালের খুব কাছেই নিখোঁজ রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। ফের রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন।
নিহত চন্দ্রকান্ত সিং। ৩০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি বুধবার ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি হন। চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাঁকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি রোগীর (Patient) পরিজনদের জানান। পুলিশের কাছেও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তবে রবিবার সন্ধে পর্যন্ত চন্দ্রকান্তের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মহেশতলায় সম্প্রীতি উড়ালপুল থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ল লরি]
রবিবার গভীর রাতে হাসপাতালের কাছে জঙ্গলের মধ্যে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ শনাক্ত করেন পরিজনরা। তাঁরাই জানান, নিখোঁজ চন্দ্রকান্তেরই দেহ এটি। এই ঘটনায় বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা। কীভাবে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তার বেড়াজাল পেরিয়ে রোগী নিখোঁজ হয়ে গেল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। কেনই বা ওই ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ৮ আগস্ট ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের তিন তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন চিকিৎসাধীন এক রোগীর মা। খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই মহিলাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করেন। আঘাত অত্যন্ত গুরুতর ছিল ওই মহিলার। পরেরদিনই জীবনযুদ্ধে হার মানেন তিনি। মৃত্যু হয় মহিলার। মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই ওই মহিলা হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কীভাবে সকলের অলক্ষ্যে ওই মহিলা ছাদে উঠে পড়লেন, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রোগী নিখোঁজ এবং তার তিনদিনের মধ্যে তাঁর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে হইচই শুরু হয়েছে।