নয়াদিল্লি: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express) ভয়াবহ দুর্ঘটনা একদিকে যেমন প্রমাণ করেছে ভাগ্যের কাছে মানুষ কতটা অসহায়, তেমনই অন্যদিকে চোখ খুলে দিয়েছে রেল-বিমার সুযোগ-সুবিধা সম্বন্ধে। রেলযাত্রীরা চাইলেই করে রাখতে পারেন বিমা। তা-ও আবার সামান্য খরচেই। আরও স্পষ্ট করে বললে মাত্র ৩৫ পয়সায়। মাথাপিছু। বিমা করে রাখা থাকলে পরবর্তীতে যদি ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তা হলে মৃত্যু বা আহত হওয়ার ঘটনায় যাত্রী বা তাঁর পরিবার পাবে ক্ষতিপূরণ।
মনে রাখতে হবে, দূরপাল্লার সফরে রেলের কাউন্টার থেকে কাটা টিকিটে কিন্তু এই বিমার সুবিধা মিলবে না। অনলাইনে টিকিট কাটতে হবে, তবেই আইআরসিটিসি-র তরফে এই সুযোগ পাওয়া যাবে। যাত্রীদের যে ৩৫ পয়সা দিতে হবে, তার মধ্যে ধরা আছে যাবতীয় কর। তবে বিমা বাধ্যতামূলক নয়। কোনও যাত্রী যদি চান, তা হলেই তিনি এই সুবিধা নিতে পারেন। এর জন্য অনলাইনে নির্দিষ্ট জায়গায় ‘ক্লিক’করতে হবে। কনফার্মড টিকিট তো রয়েইছে, পাশাপাশি আরএসি টিকিট থাকলেও বিমার সুবিধা মেলে। আবার এক সঙ্গে একাধিক টিকিট যদি কাটা হয়, তা হলে তার মধ্যে, একজনের টিকিট কনফার্মড হলেই বাকি যাত্রীরা বিমার সুবিধা পেতে পারেন। টিকিট কাটার পরে অনলাইনে জানানো মোবাইল নম্বরে বিমা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও আইআরসিটিসি যাত্রীদের জানিয়ে দেয়।
[আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে সীমান্তে প্রবেশ! বিএসএফের গুলিতে নিহত সন্দেহভাজন বাংলাদেশি]
তা বিমা-বাবদ ঠিক কত টাকার ক্ষতিপূরণ মেলে? উত্তর, ১০ লক্ষ টাকা। কোনও রেল দুর্ঘটনায় বিমা করা যাত্রীর মৃত্যু হলে আইআরসিটিসি মাথাপিছু ১০ লক্ষ টাকা দেবে। কোনও যাত্রী দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচলেও পুরোপুরি অক্ষম হয়ে পড়েন, তবেও তিনি ১০ লক্ষ টাকা পাবেন। যদি আংশিক অক্ষম হন, পাবেন ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য ২ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়। রেল দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার খরচ হিসাবেও আইআরসিটিসি ১০ হাজার টাকা দেবে বলেই বিমার নিয়ম বলছে।