সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেগাসাস (Pegasus) ফোন হ্যাকিং কাণ্ডে সরগরম ভারতীয় রাজনীতি। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‘NSO Group’। ইজরায়েলের এই সংস্থাই পেগাসাস তৈরি করেছে।
[আরও পড়ুন: Corona Virus: কোভিডবিধি উঠে গেল ব্রিটেনে, নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা]
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে এনএসও গ্রুপের মুখপাত্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, ফোনে আড়ি পাতার ঘটনায় সংস্থার কোনও যোগ নেই। তাদের সার্ভার থেকে কোনও তথ্য ফাঁস হয়নি। নজরদারি চালানোর প্রযুক্তি তৈরি করাই তাদের কাজ। তারা শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের সরকার, সরকারি নিরাপত্তা সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রি করেছে। এমন পরিষেবা চাইলেই পাওয়া যায়।ফলে এতে গোপন করার মতো কিছুই নেই। তবে তারা কাউকে নিশানা করেনি। রিপোর্টে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। সেখানে যে সূত্রের কথা বলা হয়েছে সেগুলি বিশ্বাসযোগ্য নয়। ফলে এই ঘটনায় মানহানির মামলা করার কথা ভাবছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বের ১৬টি সংবাদমাধ্যম মিলে ‘পেগাসাস প্রোজেক্ট’ নামে একটি তদন্ত শুরু করে। রবিবার ‘Project Pegasus’-এর একটি রিপোর্ট সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় দুনিয়াজুড়ে। অভিযোগ ওঠে, স্পাইওয়্যার পেগাসাস (Pegasus Project) আড়ি পাতছে দেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ফোনে। পাশাপাশি, আড়ি পাতা হচ্ছে মোদির মন্ত্রিসভার সদস্যদের ফোনে এবং আরএসএস নেতাদের ফোনেও। শুধু বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ নন, পরবর্তীতে ‘দ্য ওয়্যার’ নামে সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনেও জানানো হয়েছে, দেশের একাধিক সাংবাদিক, বিরোধী নেতা-নেত্রী, ব্যবসায়ীদের ফোনে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আড়ি পাতা হয়েছে। শুধু ভারত নয়, বিদেশেরও একাধিক ব্যক্তিত্বের ফোন হ্যাক করা হয়েছে ইজরায়েলের ওই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে। তারপর থেকেই নিশানা হয়ে ওঠে ‘NSO Group’। ইজরায়েলের এই সংস্থাই পেগাসাস তৈরি করেছে।