অরূপ বসাক, মালবাজার: শীতকাল মানেই পিকনিক। আর প্রতিবছরই পিকনিকের মরশুমে ডুয়ার্সের পিকনিক স্পটগুলিতে উপচে পড়ে ভিড়। এবারও বছরশেষে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ডুয়ার্সের পাহাড়ি এলাকা এবং সমতলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য পিকনিক স্পট। ডিসেম্বর মাসের শেষে এবং জানুয়ারি মাসে এই পিকনিক স্পটগুলিতে পিকনিক করতে আসেন বহু মানুষ। বিগত কয়েক বছর ধরে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ডুয়ার্সের নকশাল পিকনিক স্পট।
পরিবার হোক কিংবা বন্ধুবান্ধব। আপনিও পিকনিক করতে আসতেই পারেন এই নকশাল পিকনিক স্পটে। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনাকে আকৃষ্ট করবেই। মালবাজার মহকুমার নাগ্রাকাটার খুনিয়া মোড় থেকে চাপরামারি জঙ্গলের বুক চিরে বয়ে চলা ঝালং যাওয়ার রাস্তায় ঝালং থেকে অনেকটা আগেই রয়েছে নকশাল পিকনিক স্পট। প্রকৃতির কোলে এই জায়গার একদিকে যেমন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভুটান পাহাড়, রয়েছে পাহাড়ি নদী, বড় বড় পাথর। আবার পাশেই রয়েছে রবার বাগান।
[আরও পড়ুন: ‘এটা আনন্দের জল’, যাদবপুরে সমাবর্তন শেষে কান্না সদ্য অপসারিত উপাচার্যের]
যাঁরা খুব একটা পাহাড় পছন্দ করেন না, কিংবা পাহাড়ে যেতে সমস্যা হয়, তাঁদের জন্য অত্যন্ত পছন্দের হয়ে উঠতে পারে এই জায়গা। পিকনিকের মরশুমে নকশাল পিকনিক স্পটে প্রতিবারই ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। এই মনমুগ্ধকর পরিবেশে পিকনিক করতে এসে আনন্দ উপভোগ করে শিশু থেকে শুরু করে বড়রা। আশপাশের বাসিন্দারা তো বটেই, দূর-দূরান্ত থেকেও পর্যটকরা চড়ুইভাতি করতে এখানে পৌঁছে যান। এবছরও একই ছবি দেখা যাবে। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ডিসেম্বর মাসের রবিবারগুলিতে এখানে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। এদিন ঘুরতে আসা পর্যটক টুম্পা ভৌমিক, সুপর্ণা হালদাররা বলেন, খুব সুন্দর জায়গা। একদিকে পাহাড়, নদী এবং জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গা পিকনিকের জন্য আদর্শ। এদিন ঠান্ডা ভালোই ছিল। বড়দিন, বর্ষবরণে পিকনিকের হিড়িক আরও যে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। আপনার ডুয়ার্স যাওয়ার প্ল্যান থাকলে একবার ঘুরে আসতেই পারেন।