সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘স্বাবলম্বী’ হল নাসার যান। মঙ্গলের মাটিতে একাই এগোল ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ করে। এতদিন যা হয়নি। পারসিভিয়ারেন্স রোভার। নাসার মঙ্গলযান। এতদিন পৃথিবী থেকে তার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হত।
উল্লেখ্য, পারসিভিয়ারেন্স রোভার (Perseverance Rover), মানব-নিয়ন্ত্রিত ছিল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের কন্ট্রোলরুম থেকে তাকে মঙ্গলের রুক্ষ জমিতে ‘অপারেট’ করতেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই প্রথম লাল গ্রহের মাটিতে সে নিজে নিজেই হাঁটল। অবশ্য এক বার নয়। তিন বারের চেষ্টায় সে পেরল বাধা, এগোতে পারল কয়েক কদম। পুরোটাই অবশ্য নিজের কম্পিউটার পাইলট ‘অটোন্যাভ’-এর সাহায্যে।
[আরও পড়ুন: চন্দ্র অতীত, এবার শুক্রে নজর ইসরোর, জানালেন সংস্থার চেয়ারম্যান]
এই ‘অটোন্যাভ’ আদপে একটি সফটওয়্যার। সিস্টেমটি আগাগোড়াই স্বয়ংক্রিয়। মঙ্গলের মাটিতে ছয় চাকার রোভারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং পাথরের নমুনা খুঁজে বের করার দায়িত্ব রয়েছে তার কাঁধে। সেই নমুনা সংগ্রহ করার পর তা আনা হবে পৃথিবীতে গবেষণার জন্য।
নাসার (NASA) তরফে দাবি, সেই এগনোর কাজে এই প্রথম কোনও সাহায্য মেলেনি কন্ট্রোল রুমের তরফে। যা করেছে, পুরোটাই অটোন্যাভ করেছে। রোভারকে সে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে ‘স্নোড্রিফট পিক’ধরে। এই ‘স্নোড্রিফট’রয়েছে মঙ্গলের মাটিতেই। ১,৭০০ ফুটের বেশি চওড়া সেই এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে নানা আকারের বোল্ডার। ফলে, জায়গাটা যে যথেষ্ট পাথুরে, সে কথা বলাই বাহুল্য। ওই অসমান জায়গা ধরেই, নিজের চেষ্টায় এগিয়ে গিয়েছে রোভার। তবে প্রথমবার, দ্বিতীয়বারে নয়। তৃতীয়বারে এসেছে সাফল্য। গত ২৬ জুন রোভার ‘স্নোড্রিফট পিক’-এর পূর্ব প্রান্তে পা রেখেছিল। তার পর ৩১ জুলাই পশ্চিম দিক দিয়ে বেরিয়ে আসে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পৃথিবীর পড়শি গ্রহের মাটিতে অবতরণ করেছিল নাসার রোভার।