সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি আবারও সঠিক। তাঁর জয় হল ফের। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে নতুন এক অ্যাটোমিক ক্লক (Atomic Clock) বা পারমাণবিক ঘড়ি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটিই এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত শ্রেষ্ঠ পারমাণবিক ঘড়ি। সময়ের অতি ক্ষুদ্র অংশকেও যে ঘড়ির কাঁটা চিহ্নিত করতে পারে। এই আবিষ্কারের ফলেই তাঁর জয় ঘোষিত হয়েছে ফের। তিনি কে?
তিনি অ্যালবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein)। বহুবার এমন ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ করেছেন। যা তাত্ত্বিকভাবে তিনি বলে গিয়েছেন বহুকাল আগে, স্রেফ কাগজেকলমে জট ছাড়িয়েছেন যে জটিলতম বিজ্ঞানের, পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানীরা তার প্রমাণ পেয়েছেন গবেষণাগার তথা উন্নততর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে। যেমন, ব্ল্যাক হোল। এমনিতে জানা ছিল কৃষ্ণ গহ্বরের হাঁ মুখে ঢুকলে নিস্তার নেই কারও। এমনকী আলোও সেখানে সেঁধোলে হারিয়ে যায়। তার পিছনে আর কিছুই দৃশ্যমান হয় না। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোলের পিছনে আলোর হদিশ পেয়েছেন। এর ফলেই প্রমাণিত হয়েছে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মণীষা। একশো বছর আগেই তিনি এমনটাই বলেছিলেন। এবারও মিলিয়ে দিলেন!
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য অবিজেপি জোট! উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর]
সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের একটি অংশে আইনস্টাইন বলেছিলেন, পৃথিবীর আকার ও নির্দিষ্ট ছন্দে তার ঘূর্ণনের কারণে সময় সংক্রান্ত এক আশ্চর্য কাণ্ড ঘটা সম্ভব। কী সেই কাণ্ড? আইনস্টাইনের তত্ত্ব বলছে সমুদ্রপৃষ্ঠে থাকা ব্যক্তির তুলনায় পাহাড় চূড়ায় থাকা ব্যক্তির বয়স বাড়বে দ্রুত। যদিও এই গতি মাইক্রোস্কোপিক। চট করে মাপা কঠিন। এমনিতে বোঝা যায় না।
আইনস্টাইনের এই তত্ত্বই এবার প্রমাণ করেছে নয়া উন্নততর পারমাণবিক ঘড়ি, এমনটাই দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট স্কেলে সময়কে চিহ্নিত করতে সক্ষম তাদের ঘড়ি। এর ফলেই নিশ্চিত করা গিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ ও পাহাড় চূড়ার সময়ের গতিবেগের ভগ্নাংশের ফারাক।
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা! কমিশনের নির্দেশে ভোটের দিন ঘরবন্দি সোনু সুদ]
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সদস্য ও কলোরাডোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদার্থ বিজ্ঞানী জুন ইয়ে এবং তাঁর সহকর্মীদের নয়া পারমাণবিক ঘড়ি সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি গত বুধবার প্রকাশিত হয়েছে বিখ্যাত নেচার (Nature) পত্রিকায়। যেখানে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তাদের আবিষ্কৃত পারমাণবিক ঘড়িটি আজকের সেরা পারমাণবিক ঘড়ির চেয়ে ৫০ গুণ বেশি নিখুঁত সময় পরিমাপক। যে ঘড়ি আইনস্টাইনের সময় সংক্রান্ত মহান সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিয়েছে। যা তিনি তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করেছিলেন একশো বছরেরও বেশি আগে, সেই ১৯১৫ সালে।