রুপোয় বিনিয়োগ যে যথেষ্টই ভালো রিটার্ন আনতে সক্ষম, সে কথা ট্রেড-পণ্ডিতরা একাধিকবার বলেছেন। সিলভার ইটিএফ ইদানিং জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ট্রেডিং করতে হলে আগে পড়ে নিন এই সংক্রান্ত টিম সঞ্চয়-এর এই লেখা।
রুপোয় বিনিয়োগ ভারতীয় বাজারে নতুন কিছু নয়, তবে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের মাধ্যমে লগ্নির বয়স তেমন বেশি নয়। ইদানিং ETF জনপ্রিয় হয়েছে। বিভিন্ন ইনডেক্সের ভিত্তিতে বাজারে নথিভুক্ত শেয়ারের মতোই ট্রেডিং করা যায় বলে এই বিষয়ে সাধারণ লগ্নিকারীর উৎসাহ বাড়ছে। আর সোনার সঙ্গে সঙ্গে রুপো-ও (Silver) বেড়েছে, দামের সর্বশেষ ট্রেন্ড দেখলে তা ভালোই বোঝা যাবে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রশ্নগুলি ওঠে, তা হল:
সিলভার ইটিএফ কী? কীভাবে পরিচালিত হয়?
ইনভেস্টররা কী করে এই ফান্ডের সুবিধা পেতে পারেন?
এই প্রশ্নগুলিরই উত্তর রইল নিচে :
ভারতীয় মার্কেটে (অর্থাৎ ‘ডোমেস্টিক প্রাইস’ যেখানে প্রাসঙ্গিক) রুপোর দামের অনুসরণ করা হয়। উদ্দেশ্য, এই দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রিটার্ন এনে দেওয়া। তবে ‘ট্র্যাকিং এরর’ (সূচকের তুলনায় বিচ্যুতি) নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
সাধারণত এক্সিট লোড নিয়ে চিন্তার কারণ থাকে না। বিনিয়োগকারীর রিস্ক থাকে – সিলভার ইনডেক্স যদি পড়ে যায়, তাহলে ভ্যালুও পড়ে যাবে ফান্ডের। মনে রাখুন, ইনডেক্স ফান্ড (এবং ইটিএফেরও) একেবারেই সূচক নির্ভর রিটার্ন অানার চেষ্টা করে। ফান্ড ম্যানেজার সূচকটি হারিয়ে দেওয়ার জন্য কার্যকলাপ করেন না। এই কারণেই ‘প্যাসিভ ম্যানেজমেন্ট’ বিনিয়োগকারীর জন্য এমন ‘কস্ট এফেকটিভ’ হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে। তার তুলনায়, অ্যাক্টিভ ম্যানেজমেন্টে খরচ বেশি হয়।
সাধারণ ইনভেস্টর এককালীন লগ্নি এবং সিপ, দুই-ই করতে পারেন। দাম পড়লে স্বল্প পরিমাণে লগ্নি অনেকেই করতে চান। রিটেল ইনভেস্টরদের জন্য এই পদ্ধতি বেশ সুবিধাজনক।
[আরও পড়ুন: এবার রশ্মিকা-বিজয়ের বিয়ে! কবে বাগদান সারছেন ‘অ্যানিম্যাল’ নায়িকা?]
উপদেষ্টারা বলেন:
সামান্য দু-তিন বছরের জন্য লগ্নি করার চেষ্টা করবেন না। রুপোর দামের বাড়বাড়ন্ত (যা অনেকেই অাশা করেন দেখা যাবে আগামী দিনে) যদি কাজে লাগাতে চান, তাহলে অন্তত মধ্য মেয়াদের জন্য চিন্তা করুন।
সোনা এবং রুপো, এই দুই ধাতুই নিজস্ব জায়গা করে নিতে সমর্থ হয়েছে বিগত কয়েক বছরে, ইটিএফের দৌলতে। এই ধারাটি অটুট থাকবে।
কতখানি লগ্নি করবেন?
নিজের রিস্ক প্রোফাইল অনুযায়ী গোল্ড এবং সিলভারে বিনিয়োগ করুন। অন্তত ১০-১৫% রাখতে পারেন পোর্টফোলিওতে। তবে কোনও রিটার্নের গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয়।