সোনায় লগ্নিই প্রধান আকর্ষণ, নুভামার আনা একশো শতাংশ ‘ডাউনসাইড প্রোটেকশন’-সহ নয়া স্ট্রাকচার্ড প্রোডাক্টের। মাসের শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি খোলা থাকছে লগ্নির জন্য। তথ্য সাজিয়ে দিল টিম সঞ্চয়।
সিকুইরিটিজ ব্রোকিং সংস্থা নুভামা একটি একশো শতাংশ ‘ডাউনসাইড প্রোটেকশন’ সমেত স্ট্রাকচার্ড প্রোডাক্ট এনেছে যেখানে গোল্ডে বিনিয়োগই মূল আকর্ষণ। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই প্রকল্পটি লগ্নির জন্য খোলা থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কয়েকটি হাইলাইটস :
প্রিন্সিপ্যাল অর্থাৎ মোট বিনিয়োগ, সুরক্ষিত থাকবে।
সোনার প্রতি ১ শতাংশ ‘মুভমেন্ট’-এর জন্য এই প্রকল্পে ৫.৭ শতাংশ রিটার্ন থাকবে। তর্কের খাতিরে যদি ধরা হয় সোনায় দশ শতাংশ মুভমেন্ট হয়েছে, তাহলে প্রোডাক্ট রিটার্ন আসবে ৫৭ শতাংশ।
প্রকল্পের মেয়াদ ৪২ মাস অর্থাৎ সাড়ে তিন বছর। এর মধে্য প্রথম ৩৬ মাস ‘অবজারভেশন’ পিরিয়ড হিসাবে চিহ্নিত।
কোনও নিয়মিত হারে সুদ দেওয়া হবে না। সমস্ত লাভ-ক্ষতির হিসাব মেয়াদের শেষে করা হবে, তার আগে এই বিশেষ কথাটি খুব জরুরি।
কে নিতে পারেন এই জাতীয় স্ট্রাকচার্ড প্রোডাক্ট?
সংস্থার মতে, সোনায় লগ্নির ব্যাপারে যঁারা আগ্রহী, তঁারাই কিনতে পারেন। তবে সমস্ত রিস্ক জেনে নিয়েই তা যেন করা হয়।
যঁারা ক্যাপিটাল লস চান না, নিজের মূল লগ্নি সুরক্ষিত রাখতে চান, তঁারা এমন প্রকল্পেই লগ্নি করার কথা ভাবতে পারেন, এ-ও বলা হচ্ছে।
রিস্ক কী?
ক) সম্পূর্ণভাবে গোল্ডের দামের উঠানামার উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ অ্যাসেট এখানে কেবল একটিই।
খ) কোনও ফিক্সড রেট অফ ইন্টারেস্ট নেই আদৌ। কেবল ম্যাচুরিটির সময় পে-আউট পাওয়া যাবে।
গ) লাভের উপর ট্যাক্স-স্ল্যাব অনুযায়ী কর বসবে।
সঞ্চয়-এর সংযোজন: সোনায় লগ্নি করতে অনেকেই ইচ্ছুক, বিশেষত যেখানে এই প্রেশাস মেটাল সম্বন্ধে বিশ্বের সব সরকারই সতর্ক। এর সম্ভাবনা যথেষ্ট বলে মনে করা হয় এবং এই নিয়ে অনেক মহলই সোচ্চার। সরাসরি গোল্ড ফান্ডে বিনিয়োগ করা যেতে পারে সাধারণভাবে, তবে যঁারা রিস্ক নিতে পিছপা হন না, তঁারা এই জাতীয় স্ট্রাকচার্ড প্রোডাক্ট সম্বন্ধে চিন্তাভাবনা করতে পারেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলাদাভাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করলে খঁুটিনাটি আরও তথ্য পেয়ে যেতে পারেন। বলে রাখা প্রয়োজন, আমাদের কোনও পক্ষপাত নেই এই বিষয়ে এবং আমরা কখনওই কোনও ধরনের রেকমেন্ডেশন করি না। বিনিয়োগের রিস্ক জেনে পদক্ষেপ করবেন সবসময়, এই কথাই বারবার মনে করিয়ে দিই।
