রুপোয় লগ্নির আগ্রহ আগেও ছিল। এখনও আছে। বরং বলা ভাল আরও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, লগ্নিকারীরা যেন রুপোর কথা ভাবেন। কারণ, মধ্যমেয়াদে রুপোর 'আউটলুক' বেশ শক্তিশালী। তথ্যসূত্র সার্টিফায়েড ফিনান্সিয়াল প্ল্যানার দেবাশীষ দীর্ঘাঙ্গি-র সৌজন্যে।
নিজের টাকার ঠিক কতটা অংশ সিলভারে নেওয়া উচিত? প্রশ্ন করেছিলাম শ্রী দেবাশীষ দীর্ঘাঙ্গীকে। ক্যাপিটাল মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারি হিসাবে তাঁর বয়ান তুলে ধরা হল এখানে-
গোল্ডে তো লগ্নি করেনই আপনারা। সিলভারও রাখুন একই সঙ্গে। “কমন ম্যান” যদি হন, তাহলে পুরনো ইতিহাস দেখুন – মা-ঠাকুমার দিনে গোল্ড কেনা হত বেশি করে কারণ বিশ্বাস অটুট ছিল এই অ্যাসেট ক্লাসে। আমি মনে করি, সিলভারও এমন হবে দিনেকালে। তখনকার দিনের গোল্ড আজকের দিনে সিলভার –এমনটাই মনে হয়। অন্তত সাধারণ ইনভেস্টররা এমনই ভাবতে শুরু করেছেন।
জনপ্রিয়তার কারণটি এই নিরিখেই দেখছি আমি। গোল্ড তো সাধারণ মানুষের ধরা-ছেঁায়ার বাইরে চলে গেছে। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবে সিলভার–তবে সেখানেই ট্রেন্ড থেমে যাবে না বলে মনে করি। আমার গ্রাহকদের বলেছি সিলভারের কথা সক্রিয়ভাবে ভাবুন – নিজের সারপ্লাসের ৯-১০ শতাংশ এখানে বিনিয়োগ করা যেতে পারে যদি রিস্ক সহ্য করার ইচ্ছা থাকে। হঁ্যা, এই যে রিস্কের কথা বললাম, তা কিন্তু ভরপুর আছে এই বিশেষ কমোডিটির ক্ষেত্রে। ইতিমধে্যই, যদি আপনি গত ৬-৮ মাসের ট্রেন্ড দেখেন, সিলভার যে খুব ভোলাটাইল হতে পারে তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।
তার মানে রুপোর ক্ষেত্রে বিপুল হারে ওঠানামার জন্য তৈরি থাকতে হবে। যদি হঠাৎ দাম পড়ে যায়– মনে করুন কয়েক সপ্তাহের মধে্য দাম ১০-১২ শতাংশ পড়ল। তাহলে বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়বেন না বা নিরুৎসাহ হবেন না। “অপরচুনিটি” তথা সুযোগ হিসাবে দেখুন। কারণ মধ্য মেয়াদে রুপোর “আউটলুক” বেশ শক্তিশালী। তাই ঝুঁকির বিষয়ে ওয়াকিবহাল থেকে অ্যালোকেশনের দিকে নজর রাখুন। আগামিদিনে দাম বাড়লে আপনার পক্ষে তা ভাল হবে, অন্য অনেক ইনভেস্টরদের মতোই সুযোগের অপেক্ষায় থাকুন। এরই ফঁাকে সিলভার নিয়ে পড়াশোনা করে নিতে পারেন। কীভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাপ্লিকেশন বাড়তে পারে, তা নিয়ে বিশেষভাবে জেনে নিন। ইদানীং কেবল রুপোর জন্য লগ্নি প্রকল্প চালু হয়েছে, তাতে বিনিয়োগ করার কথা ভাবতে পারেন। আর যদি সোনা এবং ইকু্যইটির সঙ্গে একই পোর্টফোলিও রাখতে চান, তাহলে মাল্টি অ্যাসেট অ্যালোকেশন ফান্ড আপনার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
