যে কোনও ইসু্যতে লং টার্ম তথা দীর্ঘমেয়াদে চিন্তা করেন? পরিকল্পনা করে তবেই এগোন? সেক্ষেত্রে আপনার ভরসার জায়গা হতে পারে গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ। অর্থাৎ সরকারি ঋণপত্র। ট্রেড পণ্ডিতদের অনুমান, এই সময়ে গিল্টসে লগ্নি করা বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত হতে পারে। কীভাবে, জানাচ্ছে টিম সঞ্চয়।
সরকারি ঋণপত্র অর্থাৎ গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ, তো ডেট মার্কেটের প্রাণকেন্দ্র। তবুও সাধারণ লগ্নিকারী পারতপক্ষে এড়িয়ে চলেন। গিল্টস বেশিরভাগ ইনভেস্টরদের জন্য আজও অধরাই রয়ে গিয়েছে। সরকারি ঋণপত্রে লগ্নি কিন্তু খুব স্বচ্ছভাবে করা সম্ভব। এর জন্য ‘রিটেল উইনডো’ খোলা হয়েছে ইতিমধে্যই। তবে অনেকেরই পছন্দ গিল্ট ফান্ড। মানে যে ডেট ফান্ড মূলত এই শ্রেণীর ঋণপত্রেই বিনিয়োগ করে। বিশদে জানানোর আগে বলে দেওয়া উচিত যে এই জাতীয় সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে ক্রেডিট রিস্ক নেই। সরকারিভাবে ডিফল্ট হবে না, এমন নিশ্চয়তা আর কোথাও দেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে চিকিৎসা পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীরা, ঘোষণা নির্মলার]
এখন কেন গিল্টসে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে?
নতুন বছরের গোড়ায় দঁাড়িয়ে যা মনে হচ্ছে, তাতে পরিষ্কার যে-আমেরিকার ফেডেরাল রিজার্ভ হয়তো এবার রেট কমানোর কথা ভাবছেন। তার কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কমে আসছে বলে বোঝা যাচ্ছে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের নীতি ঋণপত্রের বাজারে প্রধান নির্ধারক বলে গণ্য।
আমাদের দেশে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি। তবে এই প্রসঙ্গে (সম্প্রতি মিডিয়ায় বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে) আরবিআই গর্ভনর বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশের বাজারে
রেট কাট হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।
পেশাদার বিনিয়োগকারীদের একাংশ বিশ্বাস করেন যে রেট কমিয়ে আনতে হবে ব্যাঙ্কিং রেগুলেটরকে আগামিদিনে, কারণ ইনফ্লেশনের বহর কমে আসবে স্বাভাবিক কারণেই।
অতএব ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ট্রেন্ডের ভিত্তিতে এই রকম ঋণপত্রে লগ্নির কথা ভাবা উচিত হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। লং টার্ম অর্থাৎ দীর্ঘ মেয়াদের জন্য সুবিধা হবে বিনিয়োগকারীদের, তঁাদের পোর্টফোলিওতে গিল্টস থাকা বাঞ্ছনীয় হবে। ক্রেডিট রিস্ক যঁারা নিতে পছন্দ করেন না, তঁাদের জন্য এই ধরনের সিকিউরিটিজ নতুন সুযোগ এনে দেবে আগামি দিনে।
[আরও পড়ুন: নির্মলার বাজেট বক্তৃতায় প্রজ্ঞানন্দের নাম, দেশের খেলাধুলো নিয়ে আর কী বললেন?]
কোটাক গিল্ট ফান্ড
উদাহরণ হিসাবে কোটাক মিউচুয়াল ফান্ডের এই বিশেষ প্রকল্পের কথা আমরা বলছি। সম্প্রতি পঁচিশ বছরে পা রেখেছে এই ফান্ড তবে আমাদের এই বিষয়ে কোনও রকম পক্ষপাত নেই।