ছিল, আছে, থাকবে। মিড ক্যাপস নিয়ে লগ্নিকারীদের মাতামাতি থাকবেই। কারণ, এর একাধিক লাভজনক বৈশিষ্ট্য। রেভিনিউ পাওয়ার সম্ভাবনা যেমন উজ্জ্বল, তেমনই সুগম ধারাবাহিকভাবে ‘প্রফিট’-এর মুখ দেখার রাস্তাও। তাই বাজারের অগ্রণী পাঁচটি মিড ক্যাপস নিয়ে তথ্যের ডালি, গ্রাহকদের জন্য সাজিয়ে দিল টিম সঞ্চয়
মিড ক্যাপ। বিনিয়োগকারীদের নজরের মধ্যমণি। পুরো বাজার অপেক্ষা করে আছে মিডক্যাপের খেলা ঠিক কোন খাতে এগোয়, তা দেখতে। আমরা বেশ কিছু পোর্টফোলিও পড়ে, মার্কেটে সক্রিয় এমন ব্রোকারদের সঙ্গে কথা বলে, পাঁচটি নামী মিডক্যাপ বেছে নিয়েছি। NSE Midcap 100 ইনভেস্টের অন্তর্গত এই পাঁচটি শেয়ার ইতিমধ্যে আলোড়ন ফেলেছে।
*NMDC
*L&T Finance
*Petronet
*Biocon
*Concor
রেভিনিউ পাওয়ার সম্ভাবনা এবং ধারাবাহিকভাবে প্রফিট আসার সম্ভাবনা, এই দুইয়ের মিশ্রণই লগ্নিকারীদের জন্য উপযুক্ত বলে গণ্য। ব্রোকারদের মতে ইনভেস্টরদের এই ধরনের স্টকের উপর নজর থাকা উচিত। তবে এখানে বলে রাখা উচিত যে, আমাদের কোনও পক্ষপাত নেই এই বিষয়ে। এই তালিকাভুক্ত স্টকগুলি কোনও রকমের ‘রেকমেন্ডেশন’ নয়, সে কথাও স্পষ্টভাবে বলে রাখছি আমরা। সংস্থাগুলি বাছাই করা হয়েছে অদূর ভবিষ্যতে তাদের স্টকের দাম সম্বন্ধে ইতিবাচক রিপোর্টের ভিত্তিতে। সংশ্লিষ্ট ইনভেস্টর যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের ব্রোকারের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেন। আগামী দিনগুলিতে এই পাঁচটি স্টক বাজারের নজর কাড়বে বলে আশা করেন মার্কেটের একাংশ। সরাসরি যাঁরা মিডক্যাপে লগ্নি করতে পছন্দ করেন, তাঁরা যেন স্টকগুলির খুঁটিনাটি নিয়ে বিশদে জেনে নেন। অবশ্য সরাসরি ছাড়া, মিডক্যাপে লগ্নির প্রকৃষ্ট উপায় হচ্ছে ফান্ডের মাধ্যমে। একগুচ্ছ মিডক্যাপ ফান্ড ইতিমধে্যই উপস্থিত। এবার আমরা আলোচনার পরিসরে নির্দিষ্টভাবে দুটি ফান্ডের কথাও জানাব। এরা হল–
*Bank of India Large & Midcap Fund
*Tata Midcap Growth Fund
বুঝতেই পারছেন, প্রথমটির ক্ষেত্রে কিছু লার্জক্যাপও আছে। বস্তুত, ফান্ড ম্যানেজার সেভাবেই তাঁর অ্যাসেট অ্যালোকেশন করে থাকেন, অর্থাৎ লার্জ এবং মিডক্যাপের মিশেলে। দ্বিতীয়টি পুরোপুরি মিডক্যাপ ভিত্তিকই। তবে দুটি ফান্ডই যথেষ্ট ডাইভারসিফায়েড বলে জানা যাচ্ছে। অর্থনীতির বেশ কিছু সেক্টরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা অাছে এগুলির অ্যাসেট। স্বল্প টাকায় সিপ শুরু করতে পারেন সাধারণ ইনভেস্টর। এছাড়াও লাম্পসাম (বা একলপ্তে) লগ্নি করতেও বাধা নেই। সাম্প্রতিক পোর্টফোলিওতে চোখ রাখলে দেখবেন সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ব্যাংকিং, ইনফোটেক, অটো, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্টস ইত্যাদির উপর। সব মিলিয়ে ডাইভারসিফিকেশনের ছাপ রেখেছেন ফান্ড ম্যানেজাররা।
[আরও পড়ুন: মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট! জেনে নিন ‘ডিজিটাল সেফটি’ টিপস]
এতো হল ফান্ডের কথা। আমাদের প্রাথমিক তালিকায় যে মিডক্যাপের নাম দেখেছেন, সেগুলি আরও একবার দেখুন। পাঁচ ধরনের সেক্টর থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পেশাদার ইনভেস্টররাও এইসব স্টকে কম-বেশি বিনিয়োগ করেছেন। কৌতূহলী পাঠক স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়াবসাইটে ঢুকে এগুলির শেয়ার হোল্ডিং প্যাটার্ন নিয়ে বিশদে জেনে নিতে পারবেন।