ছোট হলেই যে তার গুরুত্বও খাটো, তা কিন্তু একেবারেই নয়! বরং স্মল ক্যাপ স্টকের কদর যে স্টক মার্কেটে বাড়ছে, ট্রেড পণ্ডিতরাই তা স্বীকার করে নিচ্ছেন। এমনিতেই গত কয়েক কোয়ার্টারজুড়ে স্মল ক্যাপ বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। এই শ্রেণিভুক্ত শেয়ারের আকর্ষণ প্রবল। তথ্য সংকলনে টিম সঞ্চয়
স্মল ক্যাপ স্টক। সবাই ভালোবাসেন, কিন্তু প্রায় প্রত্যেকেই ভীত সন্ত্রস্ত। এই বুঝি পড়ল, এই বুঝি লস হওয়া শুরু হল। যেভাবে গত কয়েক কোয়ার্টার ধরে স্মল ক্যাপ বেড়েছে, এই ভীতি থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেএম মিউচুয়াল ফান্ডের স্মল ক্যাপ ফান্ড (এনএফও) নিয়ে কিছু কথা আজকের আলোচনায়।
সঙ্গে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়।
JM Small Cap Fund
১. ওপেন এন্ড ফান্ড, ন্যাভের ভিত্তিতে লিকুইডিটি পাওয়া সম্ভব
২. ডাইভারসিফিকেশনের চেষ্টা করবেন ফান্ড ম্যানেজার
৩. নূন্যতম লগ্নির পরিমাণ : ৫,০০০ টাকা
৪. এনএফও বন্ধ হওয়ার দিন : ১০ জুন, ২০২৪
৫. সাবস্ক্রিপশন আবার চালু হবে : ১৮ জুন, ২০২৪
৬. লগ্নির লক্ষ্য : দীর্ঘমেয়াদের জন্য ক্যাপিটাল গ্রোথ
ফান্ড ম্যানেজারের বক্তব্য
জেএম অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের মতে, ভারতীয় স্টক মার্কেটের অন্যতম প্রধান ‘ড্রাইভার’ হবে স্মল ক্যাপ। আগামিদিনে বহু ধরনের সেক্টর থেকে সেগুলো উঠে আসবে। অভ্যন্তরীণ ডিমান্ড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্পোরেট সেক্টরে প্রফিটেবিলিটি বাড়ার কথা। এর জন্য অনেক শ্রেণির সংস্থা উপকৃত হবে, এবং ছোট প্লেয়ার (যেগুলো মূলত স্মল ক্যাপ) এখানে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারবে। বস্তুত, নিফটি ৫০০ সূচকটির অন্তর্গত স্টকগুলো দেখলে এই বিষয়টি বেশ ভালোভাবে বোঝা যাবে।
১. Nifty 500 ইনডেক্সের প্রথম একশোটি কোম্পানি দেখুন। ‘ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং’ হিসাবে এগুলি দেখতে পারবেন। এর মধ্যে ষাটটি সংস্থাই স্মল ক্যাপ শ্রেণীর। এখানে ২০২০-২৩, এই তিন অর্থবর্ষের ‘নেট সেলস’ গণ্য করা হচ্ছে।
২. একই ইনডেক্সের মধ্যে অবস্থিত, প্রথম ১০০টি স্টকের মাঝে ৫৫টি স্মল ক্যাম্পের তিন বছরের PAT (অর্থাৎ প্রফিট আফটার ট্যাক্স) দেখলে, আরও স্পষ্টভাবে এমন ট্রেন্ড ধরতে পারবেন।
৩. সাধারণভাবে, স্মল ক্যাপ শ্রেণিভুক্ত শেয়ারের ক্ষেত্রে আর্থিক অবস্থার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে গত কয়েক বছরে। সেগুলির ডেট (ধারকর্জ) কমেছে, বিনিয়োগ ক্ষমতা বেড়েছে, ‘ক্যাপিটাল এক্সপ্যানশন’ করতে সক্ষম হয়েছে।
৪. সব মিলিয়ে দেখলে স্মল ক্যাপের ওয়েলথ ক্রিয়েশনের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে ঝুঁকি অবশ্যই আছে, যে কারণে চড়াই-উতরাই নিয়েও কেউ
সন্ধিহান নন।
[আরও পড়ুন: উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির মিশেলে এসবিআই-এর নয়া ফান্ড, জানুন বিস্তারিত]
সাত বছরে ইনভেস্টমেন্ট হরাইজন দেখলে, নিফটি স্মল ক্যাপ ২৫০ ইনডেক্স গড়ে ১২.১১% রিটার্ন দিয়েছে। এখানে CAGR অথবা কম্পাউন্ডেন্ড অ্যানুয়াল গ্রোথ
রেটের (বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়) কথা বলা হচ্ছে।
সূত্র : জে এম মিউচুয়াল ফান্ড।
স্মল ক্যাপ আর ঠিক স্মল নয়!
জে এম মিউচুয়াল ফান্ডের আধিকারিক, শ্রী অসিত ভান্ডারকর জানাচ্ছেন ফান্ড ম্যানেজার হিসাবে তিনি বিশেষ কয়েকটি পয়েন্ট আলাদাভাবে উল্লেখ করতে চান, যাতে ইনভেস্টরদের কাছে যথাযথ বার্তাটি পৌঁছে যায়।
১. এক, স্মল ক্যাপে লগ্নির কারণে ‘ওয়েলথ ক্রিয়েশন’ হতে পারে, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীর পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
২. দুই, ‘গ্রোথ পোটেনশিয়াল’ প্রবলমাত্রায় উপস্থিত এই শ্রেণিভুক্ত স্টকের। বাজারে ব্যতিক্রমী রিটার্ন আনতে সক্ষম যদি সঠিকভাবে ম্যানেজ করা হয় স্মল ক্যাপের পোর্টফোলিও।
৩. তিন, কিছু ইউনিক সেক্টর কেবল এই ধরনের স্টকের ক্ষেত্রে খুঁজে পাওয়া যাবে। লার্জ ক্যাপ ও মিড ক্যাপে এগুলো পাওয়া খুব দুষ্কর।
৪. শ্রী ভান্ডারকরের মতে, স্মলক্যাপ শেয়ারগুলোর একাংশ বিপুল ভাবে উপকৃত হবে এখনকার অর্থনীতির পরিমণ্ডলে। গত এক বছরে অনেকগুলো ছোট সংস্থা শেয়ার ছেড়েছে প্রাইমারি মার্কেটে আইপিও’র মাধ্যমে। উপরের IPO-র তালিকা দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
সূত্র : জেএম এমএফ
স্মল ক্যাপ ইনডেক্স
NSE Nifty Small Cap 100 ইনডেক্স বেশ প্রামাণ্য বলে গণ্য। স্মল ক্যাপ স্টকের পারফর্ম্যান্স খুব ভালভাবেই বোঝা যাবে এই সূচকের ইতিহাস ঘঁাটলে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের ঘোষিত ফ্যাক্টশিট থেকে কয়েকটি বাছাই করা তথ্য এখানে পেশ করা হল।
* অারম্ভ হওয়ার দিন : ৩০ শে মার্চ, ২০১১,
* স্টকের সংখ্যা : ১০০
* প্রথম পাঁচটি সেক্টর :
১. ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (২৮.৪৬%)
২.ইনফোটেক (৮.১০%)
৩. ক্যাপিটাল গুডস (৭.৬৩%)
৪. হেলথকেয়ার (৭.৫৭%)
৫.অটোমোবাইল (৭.০২%)
ওয়েটেজ অনুযায়ী প্রথম
পাঁচটি স্টক :
–Exide Industries (2.33%)
–MCX (2.29%)
– Crompton Greaves (2.24%)
– Blue Star (2.12%)
– CDSL (2.05%)