একেই বলে জোড়া অ্যাডভান্টেজ। একদিকে কর বাঁচানোর উপায়, অন্যদিকে আবার ইনডেক্সিংয়ের সুবিধা। আইআইএফএল মিউচুয়াল ফান্ডের নিবেদন আইআইএফএল ইএলএসএস নিফটি ৫০ ট্যাক্স সেভার ফান্ড ঠিক এই কাজটাই করছে। তথ্য সংকলনে টিম সঞ্চয়
ট্যাক্স সেভিংয়ের সঙ্গে ইনডেক্সিংয়ের সুবিধা একত্রে আনছে IIFL Mutual Fund। সংস্থায় নতুন সংযোজন IIFL ELSS Nifty 50 Tax Saver Fund। এই মাসের শেষাশেষি বন্ধ হচ্ছে (NFO হিসাবে সম্প্রতি খুলেছে)।
সাধারণ ইকুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিমের মতোই দেখা যেতে পারে ফান্ডটিকে। অন্য ইএলএসএস-এর মতোই সেকশন ৮০সি-র অন্তর্ভুক্ত কর বাঁচানোর সুযোগ দেবে এটি। তাই তিন বছরের লক-ইনও থাকবে। অর্থাৎ ইনভেস্টর ইউনিট কেনার পর ৩৬ মাস রিডিম করতে পারবেন না। সব ট্যাক্স-সেভিং ফান্ডের মতোই এই কম্পালসরি লক-ইনের শর্ত এখানে পূরণ করতেই হবে। মাসিক সিপ করলেও প্রতিটি কিস্তির টাকা লক ইনের শর্ত অনুযায়ী ফান্ডের মধ্যে লগ্নি হয়ে থাকবে।
[আরও পড়ুন: অস্থির বাজারে স্থিতিশীল ‘চয়েস’ হতে পারে প্যাসিভ ফান্ড]
তবে একই সঙ্গে বিনিয়োগকারী এই প্রকল্পটিকে ইনডেক্স ফান্ডের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। এখানে নির্বাচিত সূচকটির নাম Nifty 50-অর্থাৎ সব থেকে জনপ্রিয় ইনডেক্সই এখানে অনুসরণ করা হবে। ইনডেক্স ফান্ডের নীতি অনুযায়ী, ফান্ড ম্যানেজার সব সময় বেছে নেওয়া সূচকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবেন। তিনি কখনও সেটিকে অতিক্রম করে বা ছাপিয়ে যেতে চাইবেন না। সব ইনডেক্সেই ওঠানামা হয়ে থাকে, এখানেও তার ব্যতিক্রম হবে না। কিন্তু এই ফান্ডটি নিফটি 50-র নিজস্ব ছন্দের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই চলবে।
IIFL মিউচুয়াল ফান্ড কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে ‘অনগোয়িং বেসিস’ প্রকল্পটি আবার জানুয়ারি মাসের দুই তারিখ থেকে পাওয়া যাবে। শ্রী পারিজাত গর্গ, যিনি ফান্ডটি ম্যানেজ করবেন, জানাচ্ছেন নিফটি ফিফটি যথেষ্ট ডাইভারসিফায়েড একটি ইনডেক্স। ভারতীয় বাজারের সব থেকে বড় লিস্টেড সংস্থাগুলি নিয়ে গঠিত এই সূচকটিতে অনেক জরুরি সেক্টরই আছে। মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের নিরিখে নিফটি ফিফটির অংশীদারি প্রায় ৫০ শতাংশ। নিফটির অন্তর্গত স্টকগুলিতে একসঙ্গে তাৎক্ষণিক অ্যালোকেশন করা সম্ভব হবে এই ফান্ডের মাধ্যমে। সাধারণভাবে ইনডেক্সিং বেশি খরচসাপেক্ষ নয়, তাই বিনিয়োগকারীরা এই ‘লো-কস্ট’ প্রকল্পে লগ্নি করে উপকৃত হবেন। প্যাসিভ ফান্ডের চরিত্র অনুযায়ী ফান্ড পরিচালনার খরচ তুলনায় কম থাকে (অ্যাক্টিভ ফান্ডের পাশাপাশি রাখলে যা বোঝা যায়)।
কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়ে মনে রাখতে হবে :
-নিফটির স্টকগুলির অংশীদারির মাধ্যমে উন্নতমানের রিটার্ন আনার চেষ্টায় থাকবেন ফান্ড ম্যানেজার।
-‘ট্র্যাকিং এরর’ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অর্থাৎ কোনও বিচ্যুতি হচ্ছে কি না, যথাযথভাবে ইনডেক্সকে অনুসরণ করা হচ্ছে কি না, এই বিষয়গুলির ব্যাপারে সজাগ থাকা প্রয়োজন।
-কোনও গ্যারান্টি নেই। অর্থাৎ তিন বছরের লক ইন থাকা সত্ত্বেও কোনও নির্দিষ্ট পারফরম্যান্স যে হবেই, তার আশ্বাস কখনওই দেওয়া হবে না।
-সেবির রিস্ক-ও-মিটার অনুযায়ী, এখানে ঝুঁকির মাত্রা ‘ভেরি হাই’ শ্রেণির।
-সেকশন ৮০-সির সুবিধা ঠিক কী, তা জেনে নিতে হবে আয়কর দাতাদের। মিউচুয়াল ফান্ডের ইএলএসএস বিনিযোগ করলে কীভাবে উপকৃত হবেন তাঁরা, সে বিষয়ে পেশাদার পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বললে বুঝতে সুবিধা হবে। ইএলএসএস ছাড়াও আরও কয়েকটি ট্যাক্স বাঁচানোর সংস্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন ইনকাম ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ। সেগুলির তুলনায় লক ইনের নিয়ম অনেক অংশে সোজা।