পা থাকবে দেশে কিন্তু লগ্নির কাজ এর হবে বিদেশে। হ্যাঁ, ফিডার ফান্ডের মাধ্যমে তা সম্ভব। এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আগ্রহী ইনভেস্টরদের জন্য তুলে ধরল টিম সঞ্চয়
দেশে বসে বিদেশি বাজারে বিনিয়োগ করতে অনেকেই আগ্রহী। মার্কেট নিয়ন্ত্রকের কল্যাণে তা কিছুটা সম্ভব হয়েছে বটে। এবং এই সংক্রান্ত বাধানিষেধ আগামিদিনে শিথিল হবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বিদেশি মার্কেটে লগ্নি করার সহজতম উপায় ফিডার ফান্ডেরর মাধ্যমে পা ফেলা। উদাহরণ হিসাবে পক্ষপাত ছাড়া আজ আমরা এইচএসবিসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট-এর চারটি বিশেষ প্রকল্পের কথা বলছি। চারটি আলাদা ফ্লেভার পাবেন ভারতীয় ইনভেস্টর, এ কথা অবশ্য উল্লেখ করাই যায়। ফিডার ফান্ডের নানা ধরনের সুবিধা–খুব সহজেই বিদেশের বাজারে আপনার টাকা ‘খাটাতে’ পারবেন এর সুবাদে।
- এইচএসবিসি গ্লোবাল ইমার্জিং মার্কেটস ফান্ড
- এইচএসবিসি গ্লোবাল ইক্যুইটি ক্লাইমেট চেঞ্জ ফান্ড অফ ফান্ড
- এইচএসবিসি এশিয়া প্যাসিফিক (এক্স-জাপান) ডিভিডেন্ড ইল্ড ফান্ড
- এইচএসবিসি ব্রাজিল ফান্ড
ভারতীয় ইনভেস্টর যেন একটি বিষয় স্পষ্টভাবে বুঝে নেন–যে প্রকল্প এইচএসবিসি মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে তাঁর সামনে হাজির করছে, তা ওপেন-এন্ড। তার মানে সামান্য এগজিট লোড ছাড়া তেমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই তার জন্য। সোজা উপায়ে তিনি বিনিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে পারেন এবং পরিচ্ছন্নভাবে, পদ্ধতি মেনে, চাইলে টাকা নিয়ে বেরিয়েও যেতে পারেন।
কয়েকটি ‘কমন’ উদ্দেশ্য এবং অন্যান্য পয়েন্ট:
১) দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ক্যাপিটাল অ্যাপ্রিসিয়েশন নিশ্চিত করা।
২) প্রয়োজনে মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্টস এবং অন্য স্বল্পমেয়াদি সিকুইরিটিজে লগ্নি করা (পরিস্থিতি বুঝে)।
৩) প্রতিটি ক্ষেত্রে বেঞ্চমার্ক ইনডেক্স আলাদা, বিশেষভাবে তা যেন ইনভেস্টররা জেনে নেন। ফান্ড অফ ফান্ডস-এর বৈশিষ্ট্যগুলি কী, তা-ও বুঝতে হবে। কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রেই রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সম্ভব নয়, খেয়াল রাখা উচিত। প্রতিবার লগ্নি করার আগে পরামর্শদাতার সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।
সিপের পারফরম্যান্স--
ঐতিহাসিক রিটার্নের ছবি দেখে ভবিষ্যতের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না, এই কথা সকলে মানেন। তবে রেকর্ড করার প্রয়োজনে কিছু পরিসংখ্যান দিলাম আমরা। তথ্যসূত্র : এইচএসবিসি মিউচুয়াল ফান্ডের সাম্প্রতিকতম ফ্যাক্টশিট। ধরা হচ্ছে জনৈক ইনভেস্টর প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
সঞ্চয়-এর সংযোজন--
যদি আপনি সত্যিই ডাইভারসিফাই করার কারণে বিদেশি মার্কেটে ‘এক্সপোজার’ চান, তাহলে এই জাতীয় প্রকল্পের কথা ভাবতে পারেন। তবে রিস্ক নিয়ে অবশ্যই জানতে হবে। বিদেশের মাটিতে ঠিক কী হচ্ছে, সেই সব দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি কেমন, তা অত সহজে ভারতে বসে জানা সম্ভব নয়। এছাড়াও ফান্ড অফ ফান্ডস নিয়ে বুঝে নিন সমস্ত শর্তাবলী। উল্লেখ্য, টোটাল এক্সপেন্স যদি ধরেন, তাহলে আন্ডারলাইং স্কিমের নিজস্ব এক্সপেন্স আছে, তা খেয়াল রাখবেন। এখানে সেবির নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, তা সংশ্লিষ্ট ফান্ডকে মেনে চলতে হয়। রেগুলার এবং ডিরেক্ট, দুই ধরনের প্ল্যানের জন্যই এই কথা প্রযোজ্য হবে।
