সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত জোড়া উৎসবের মরশুমে চড়চড়িয়ে দাম বেড়েছিল সোনা-রুপোর। তার পরেও সোনা কেনা থামেনি ভারতে। ১০ গ্রাম সোনার দাম এক লক্ষ ৩৪ হাজার পার করে যাওয়ার পরেও খুব একটা ভাটা পড়েনি ভারতে সোনা সংগ্রহের। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা আমদানি করা দেশের মধ্যে প্রথমের দিকেই রয়েছে ভারতের নাম। তবে বিশ্বের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কগুলিও দ্রুত সংগ্রহ করছে সোনা যা আগে দেখা যায়নি।
সারা বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি কেন এই পরিমাণ সোনা সংগ্রহ করছে তা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে। সোনা অবশ্য সকলের কাছে শুধুই আভরণ হিসাবে সংগ্রহে রাখার বস্তু কিংবা স্মৃতির অংশ নয় কিংবা ঐতিহ্যও নয়। বরং সোনাকে বর্তমান প্রজন্মের একটা বড় অংশ ইনভেস্টমেন্ট বা লগ্নি হিসাবে গণ্য করছে। যার দাম সময়ের সঙ্গে কোনওভাবেই কমে যায় না অর্থাৎ যার ডেপ্রিসিয়েশন বা অবমূল্যায়ন নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি কোনও ভাবেই কোনও দেশের নগদ অর্থের উপর ভরসা রাখে না বরং তার থেকে সোনা অনেক বেশি ভরসার।
সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক সোনাকে নিজেদের হেফাজতে রাখার বিষয়টিকে অনেক বেশি নিরাপদ বলে মনে করছে। এতে সারা বিশ্বের বাজারে মার্কিন ডলারের একাধিপত্য কিছুটা হলেও কমছে এবং কমবে। গত বছরের এই তারিখের তুলনায় এ বছরে সোনার দাম যে অঙ্কে দাঁড়িয়ে রয়েছে তা প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি। বাজার বিশেষজ্ঞ সংস্থা মর্গান স্ট্যানপ্রি অনুমান এই সোনার দামের ঊর্ধ্বগতি আগামী বছরেও বজায় থাকবে।
আমেরিকা, জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ড ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ করে সোনায়। তবে ভারত, জাপান এবং চিন মাত্র ১০ শতাংশ এ ভাবে জমা রাখে। কিন্তু এখন পূর্বের এই সব দেশগুলিও গোল্ড রিজার্ভ বাড়াতে চাইছে। এমনকী কেউ কেউ কিনতে শুরু করেছে রুপো। আর তাতেই দাম চড়ছে। তবে সোনা এবং রুপোর দাম যেমন উপরে গিয়েছে, ঠিক তেমনই আসবে নিচে। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রথমত, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক যতদিন সোনা কিনছে, ততদিন এটা বেচবেন না। দ্বিতীয়ত, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক কিনছে বলেই রোজ রোজ সোনার দাম বাড়বে না।
