সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলছাত্রীদের স্কার্টের নিচ থেকে তাদের অন্তর্বাসের ছবি তুলতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল বিকৃত মানসিকতার এক যুবক। অভিনব কায়দায় চপ্পলে লাগানো মোবাইল ক্যামেরার সাহায্যে মহিলা এবং ছাত্রীদের স্কার্টের নিচ থেকে বা ‘আপস্কার্ট’ ছবি তুলত অভিযুক্ত। পায়ের চাপে যাতে ক্যামেরার কোনও ক্ষতি না হয়, তাই বিশেষভাবে লোহার মোড়কে ক্যামেরাটি সযত্নে লাগিয়ে রেখেছিল সে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল ওই বিকৃতকামনাগ্রস্ত যুবক বৈজু।
[লাগবে না আধার, নয়া নিয়ম চালু করল UIDAI]
কেরলের একটি স্কুলে উৎসব চলাকালীন ওই দুষ্কৃতী চপ্পলে লাগানো ক্যামেরার সাহায্যে ছাত্রী ও যুবতীদের অশালীন ভঙ্গিতে ছবি তুলছিল। কারণে-অকারণে চপ্পল ঠিক করার অজুহাতে ক্যামেরাটি তাক করত মহিলাদের শাড়ি বা স্কার্টের নিচের দিকে। ছাত্রীদের অন্তর্বাসের ছবি তোলাটাই নাকি তার শখ, পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে ধৃত। নিজের এই বিকৃত লালসা চরিতার্থ করতে কেরলের স্কুলে-কলেজে ঘুরে বেড়াত বৈজু। আমজনতা বুঝতেও পারতেন না, একজন সাদামাটা যুবক কী কুকর্মটাই না করে চলেছে। চপ্পলে লাগানো ক্যামেরায় দেদার ছবি তুলত বৈজু। ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে বুকপকেটে আরও একটি ফোন রাখত সে। প্রয়োজনে চপ্পলে লাগানো ফোনটি বার করে লোহার মোড়কে আরেকটি ফোন ঢুকিয়ে তুলত অশালীন ছবি তোলা।
[খুচরো নিয়ে সমস্যা, কয়েন তৈরি বন্ধ করল ট্যাঁকশালগুলি]
তবে শেষরক্ষা হল কই? একটি স্কুলে এরকম কুকীর্তি করতে গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর হাতে ধরা পড়ে গেল বৈজু। দক্ষিণ ভারতীয় একটি পোর্টালে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীটি জানিয়েছেন, কোনও দুষ্কৃতীকে এরকম করতে আগে দেখেননি। এতটা পরিশ্রম, এতটা বুদ্ধি খরচ করতে কোনও বিকৃতমস্তিষ্ক যুবক এরকম ঘৃণ্য কাজ করবে, ভাবতেও পারছেন না পুলিশকর্মীরা। আপাতত পুলিশ বৈজুকে গ্রেপ্তার করেছে ও তার দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৫-তে দিল্লিতে এক আইনজীবীকে এই ধরনের কাজের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই আইনজীবীও তার ডান পায়ের জুতোয় ক্যামেরা লাগিয়ে মহিলাদের অন্তর্বাসের ছবি তুলত। জাপান থেকে ওই বিশেষ ধরনের ক্যামেরা আমদানি করেছিল অভিযুক্ত।
[স্কুলের প্রার্থনায় হিন্দু ধর্মের প্রচার কেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন কেন্দ্রকে]
The post চপ্পলে মোবাইল ক্যামেরা, ছাত্রীদের অন্তর্বাসের ছবি তুলে ধৃত যুবক appeared first on Sangbad Pratidin.