shono
Advertisement

পপুলার ফ্রন্টের আল কায়দা যোগ, NIA রিপোর্টে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

আল কায়দার সঙ্গে ভারতে গোপন শাখা তৈরি করার চেষ্টা করছিল পিএফআই!
Posted: 04:14 PM Dec 21, 2022Updated: 04:14 PM Dec 21, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আল কায়দার সঙ্গে যোগ রয়েছে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র। সম্প্রতি কেরলের এক আদালতে এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। আল কায়দার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল নিষিদ্ধ সংগঠনটির নেতাদের বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

Advertisement

সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেরলের এক আদালতে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে এনআইএ। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ভারতে নিষিদ্ধ সংগঠনটির নেতাদের। বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে কথা হত তাদের মধ্যে। আল কায়দার সঙ্গে যৌথভাবে ভারতে একটি গোপন শাখা তৈরি করার চেষ্টা করছিল পিএফআই। নির্দিষ্ট সময়ে নাশকতার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ দেওয়ার কথা ছিল তাদের। সম্প্রতি দেশজুড়ে পিএফআইয়ের দপ্তরে চলা অভিযানের পর এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

[আরও পড়ুন: বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে, সংসদে বিরোধীদের তোপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর]

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বেঙ্গালুরু দাঙ্গার নেপথ্যে হাত রয়েছে পিএফআইয়ের বলে দাবি তদন্তকারীদের। ২০২১ সালে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে হওয়া অসমের সংঘর্ষের নেপথ্যে ছিল মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বলেও অভিযোগ। দেশজুড়ে এনআইএ অভিযানের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে পপুলার ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পিএফআই-র (PFI) পাশাপাশি আরও আটটি সংগঠনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

প্রসংঙ্গত, কলকাতার উপকণ্ঠ থেকেই আল কায়েদার ‘টেরর ফান্ডিং’ হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দাদের। এদিকে, আল কায়েদার সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্টের কতটা যোগাযোগ রয়েছে, তা-ও জানার চেষ্টা করছেন তারা। মডিউল ও স্লিপার সেল তৈরির জন‌্য বিদেশ থেকে ভারতীয় আল কায়েদা তথা আনসারউল বাংলা টিম (এবিটি)-র নেতাদের হাতে টাকা আসত বলে খবর গোয়েন্দাদের কাছে। গত কয়েক মাস ধরেই আল কায়েদার সদস‌্য ফয়জল, হাসনতদের গ্রেপ্তার করে এই ব‌্যাপারে কিছু তথ‌্য পান কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। এই ব‌্যাপারে তদন্ত করেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের বাসিন্দা শিক্ষক আজিজুল হকের নাম আসে এসটিএফের হাতে। সম্প্রতি আজিজুল হক ও তার ছাত্র মনউদ্দিন ওরফে মনিরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে এই ‘টেরর ফান্ডিং’ সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা।

[আরও পড়ুন: মণিপুরে খাদে পড়ল স্কুল বাস, মৃত অন্তত ১৫ পড়ুয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement