shono
Advertisement

Breaking News

PFI

ইসলামিক আন্দোলন করে ভারতে গৃহযুদ্ধের ছক! PFI-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা

বিমান হাইজ্যাকের পথেও হাঁটতে পারে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটি।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 08:55 AM Oct 19, 2024Updated: 08:55 AM Oct 19, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামিক আন্দোলন করে ভারতে গৃহযুদ্ধের ছক কষছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন পিএফআই! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কথা, নানা উপায়ে গোটা দেশজুড়ে ইসলামিক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে জঙ্গি সংগঠনটি। বিমান হাইজ্যাক, আইন অমান্য করে সমান্তরাল সরকার গঠন- এমনই নানা উপায়ে দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর পরকিল্পনা রয়েছে পিএফআইয়ের।

Advertisement

বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে ২০২২ সালে পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ইউএপিএ আইনে পাঁচ বছরের জন্য সংগঠনটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তার পরেই শোনা যায়, ভোল বদলে আবারও সক্রিয় হচ্ছে পিএফআই। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ৩৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, ওই সম্পত্তি একাধিক ব্যক্তি, সংস্থা এবং ট্রাস্টের নামে নথিভুক্ত রয়েছে যেগুলো পিএফআই দ্বারা পরিচালিত। প্রসঙ্গত, পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে ইডি।

৩৫ কোটির সম্পত্তি উদ্ধার হওয়ার পরেই দেশজুড়ে বড়সড় অশান্তির ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের দাবি, পিএফআই সামাজিক সংগঠন হিসাবে নথিভুক্ত। কিন্তু তাদের প্রধান উদ্দেশ্য দেশজুড়ে ইসলামিক আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া। এতটাই শক্তিশালী আন্দোলনের ছক কষেছে তারা যার জেরে বেঁধে যেতে পারে গৃহযুদ্ধ। তার জন্য বিমান হাইজ্যাক, মিডিয়ায় প্রচার, জনসংযোগের মতো অহিংস পন্থা নেবে পিএফআই।

তবে অতীতে একাধিকবার হিংসার পথে হেঁটেছে কেরলের এই নিষিদ্ধ সংগঠনটি। আগামী দিনেও সেই পন্থা নেবে পিএফআই, এমন সম্ভাবনাই প্রবল। মারণাস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশেষ জঙ্গি দলও গঠন করার চেষ্টা করছে পিএফআই, এমনটাই ইডির দাবি। তার জন্য বিদেশ থেকে অনুদানও পাচ্ছে পিএফআই। এখনও পর্যন্ত তাদের ৬১ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বেঙ্গালুরু দাঙ্গার নেপথ্যে হাত রয়েছে পিএফআইয়ের বলে দাবি তদন্তকারীদের। ২০২১ সালে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে হওয়া অসমের সংঘর্ষের নেপথ্যে ছিল মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আল কায়দার সঙ্গেও যোগ রয়েছে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র। দেশজুড়ে এনআইএ অভিযানের পর পপুলার ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পিএফআই-র পাশাপাশি আরও আটটি সংগঠনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে ২০২২ সালে পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার।
  • পিএফআই সামাজিক সংগঠন হিসাবে নথিভুক্ত। কিন্তু তাদের প্রধান উদ্দেশ্য দেশজুড়ে ইসলামিক আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া।
  • ২০২০ সালে বেঙ্গালুরু দাঙ্গার নেপথ্যে হাত রয়েছে পিএফআইয়ের বলে দাবি তদন্তকারীদের। ২০২১ সালে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে হওয়া অসমের সংঘর্ষের নেপথ্যে ছিল মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বলেও অভিযোগ।
Advertisement