গোবিন্দ রায়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় একাধিক কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। সংবাদমাধ্যম ও ইডিকে একাধিক অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত কোনও সংবাদে অভিষেক বা রুজিরার ছবি অভিযুক্ত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। চার্জশিট পেশের আগে পর্যন্ত এই নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে বলে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে (ED) বিচারপতি ভট্টাচার্যর আরও নির্দেশ, অভিষেক বা রুজিরার বাড়িতে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোনও সংবাদমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এই সময়ে কোনও লাইভ স্ট্রিমিং (Live Streaming) করা যাবে না। অভিযানের পর সিজার লিস্ট নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না। এই সংক্রান্ত কোনও খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত হিসেবে অভিষেক বা রুজিরার ছবি ব্যবহার করতে পারবে না সংবাদমাধ্যম। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী জানুয়ারি মাসে।
[আরও পড়ুন: ‘ওই দেখো হাতি হাঁটছে!’ ফ্যাশন শোয়ে বিপাশাকে দেখে কটাক্ষ নেটিজেনদের]
কয়লা কেলেঙ্কারি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার দুর্নীতি-সহ একাধিক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। শুধু তিনিই নন, তাঁর পরিবারকেও বারবার ডেকে পাঠানো হয়েছে ইডি দপ্তরে। নথিপত্র দেখতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। আর প্রতি ক্ষেত্রেই এই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের ‘কৌতূহল’ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অভিষেকপত্নী।
[আরও পড়ুন: টানাপোড়েনে ইতি, বিধায়কদের বেতনবৃদ্ধির বিলে ছাড়পত্র দিলেন রাজ্যপাল]
রুজিরার আইনজীবীদের অভিযোগ, সংবাদমাধ্যম এমন ভাবে সংবাদ পরিবেশন করছে যাতে তাঁর এবং পরিবারের সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, কোনও বিষয়ে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কার্যত ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ কার্যত সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এই মামলায় বিচারপতি আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, আদালত কীভাবে সংবাদমাধ্যমের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে?