Advertisement
ভোটারদের সাহায্যে 'মে আই হেল্প ইউ' শিবির খুলবে নবান্ন, মালদহ থেকে ঘোষণা মমতার
'নিশ্চিন্তে থাকুন, আমি আপনাদের পাহারাদার', অভয়বাণী মমতার।
রাজ্যে চলছে এসআইআরের কাজ। বাড়ি বাড়ি ঘুরে এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ শেষ। ফর্ম ফিলআপের পর তা জমাও দিয়েছেন অনেকেই। আগামী ১১ ডিসেম্বর এসআইআর প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপ শেষের ডেডলাইন। ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তার আগে পর্যন্ত এসআইআর নিয়ে প্রায় বেশিরভাগ মানুষই উদ্বেগে।
বাংলায় ইতিমধ্যে অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন। মমতার দাবি, "৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। ৩ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি।" মালদহের সভামঞ্চ থেকে আরও একবার নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, "এত তাড়াহুড়ো করার কী ছিল? তুমি জানো সামনে ভোট। উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে ৬ মাস আগে থেকে রাজ্য সরকারকে ক্ষমতা দখল করে তুমি চুলকে ঘা করছ।"
তাঁর কথায়, "যে মানুষটা নাগরিক তাঁকে আবার প্রমাণ দিতে হচ্ছে? তারপরে আমি নাম লেখালেন, আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে দেখবেন যেন নামটা ওঠে। ড্রাফট লিস্টে নাম উঠবে, তারপর আবার হিয়ারিং হবে। না গেলে নাম কেটে দেবে।" মমতার অভয়বাণী, "ভয় দেখানো হচ্ছে সকলকে। ভয় পাবেন না। কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবেনা। পুশব্যাক করা হবে না। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আমি আছি আপনাদের পাহারাদার।"
আর কারও নাম ভোটার তালিকায় যদি না থাকে, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে বিশেষ ভাবনা নবান্নের। মমতা জানান, আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে 'মে আই হেল্প ইউ' ক্যাম্প শুরু হচ্ছে রাজ্যে। ব্লকে ব্লকে এই ক্যাম্প হবে। মমতা বলেন, "যার যা প্রয়োজন ক্যাম্প থেকে করে নেবেন। কোনও শংসাপত্রের আবেদন করেছেন অথচ পাননি, এমন হলে চিন্তা করবেন না। ওই ক্যাম্প থেকে পেয়ে যাবেন।"
বিএলএদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন। ভোটের সময় যেমন ভোটার সহায়তা কেন্দ্র থাকে, তেমনই দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে মানুষকে সাহায্য করার কথা বলেন তিনি। আবার মমতার নির্দেশ অনুযায়ী, বিএলএদের সাহায্য করবেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাঁদের জন্য খাবার, চা, জলের বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিনের সভামঞ্চ নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মমতা। বিশেষত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের খতিয়ান তুলে ধরেন। বলেন, "২০২১ সাল থেকে আগামী ভোট পর্যন্ত সময় ধরলে দেখা যাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণিভুক্ত মহিলারা ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন। তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্তরা পেয়েছেন ৭৫ হাজার টাকা।"
Published By: Sayani SenPosted: 09:21 PM Dec 03, 2025Updated: 09:21 PM Dec 03, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
