shono
Advertisement

যুদ্ধবিধস্ত সিরিয়ায় ক্যামেরা ভুলে খুদে প্রাণ বাঁচাতে ছুটলেন ফটোগ্রাফার

এত যুদ্ধ দেখেছেন তাও কেন এদিন ভেঙে পড়ছেন আবদ?
Posted: 05:06 PM Apr 19, 2017Updated: 11:36 AM Apr 19, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ম আছে, জেহাদ আছে, আছে ক্ষমতার লড়াই৷ কিন্তু এর মাঝে মানুষ কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে৷ হারিয়ে গিয়েছে জীবন৷ সিরিয়ার সুস্থ স্বাভাবিক জীবন৷ হারিয়ে যাওয়া সেই জীবনের কাহিনিই ফুটে উঠেছে ভাইরাল হওয়া এই ছবিতে৷ যাতে তুলে ধরা হয়েছে যুদ্ধবিধস্ত সিরিয়ার এক ফটোগ্রাফারের কাহিনি৷

Advertisement

[মাথা কামিয়ে মৌলবীর ফতোয়ার ‘যোগ্য’ জবাব সোনুর]

বছরের পর বছর সিরিয়াতে কাটিয়েছেন আবদ আলকাদের হাবক৷ নিজের ক্যামেরায় তুলেছেন যুদ্ধের নৃশংসতার কাছে মানবিকতার পরাস্ত হওয়ার কাহিনি৷ কিন্তু এদিন আর নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি৷ কী হয়েছিল এদিন? সিরিয়ার যে অঞ্চলে আবদ ও তাঁর সঙ্গীরা কাজ করছিলেন একটি খাবার ভর্তি ট্রাক এসেছিল৷ চিপসের লোভে যেখানে ভিড় জমিয়েছিল কচিকাঁচারা৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রচন্ড জোরে হয় বিস্ফোরণ৷ চোখের সামনে সমস্ত শিশুকে ঝলসে যেতে দেখেন আবদ৷

কিছুক্ষণের জন্য সার ছিল না তাঁর দেহে৷ সম্বিত ফিরতেই ক্যামেরা হাতে ছুটে যান৷ ছবি তুলতে নয়, শিশুগুলিকে বাঁচাতে৷ একের পর এক আহত শিশুকে তুলে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের দিকে ছুটে যেতে থাকেন আবদ৷ কিন্তু সবাইকে বাঁচাতে পারেননি৷

[সরকারি গাড়িতে আর লালবাতি নয়, নির্দেশ জারি মোদি সরকারের]

সরকারি হিসেবে প্রায় অন্তত ৬০টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে বিস্ফোরণে৷ বেসরকারি হিসেবে তার চেয়েও বেশি৷ আশেপাশে কচি দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকতে দেখে ভেঙে পড়েন অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফার৷

মর্মান্তিক দৃশ্যগুলি ক্যামেরাবন্দি করেন তাঁর এই এক সহযোগী৷ চোখে জল তাঁরও ছিল৷ কিন্তু কোথাও যেন ছিল একটা দায়িত্ববোধ৷ দায়িত্ব বিপ্লবের নামে দিনের পর দিন চলতে থাকা এই চুড়ান্ত অমানবিকতার আসল চিত্রটা সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা৷ তাই করেছেন তিনি৷ সেই সঙ্গে উঠেছে প্রশ্ন, আর কতদিন সাধারণ মানুষকে চোকাতে হবে ক্ষমতার এই নিষ্ঠুর লড়াইয়ের মূল্য?

[‘আল্লাহ-হু-আকবর’ বলে বন্দুকবাজের হানা, মৃত ৩ মার্কিন নাগরিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement