শুভঙ্কর বসু: প্রায় দু’শো কোটি টাকা গরমিল-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi) নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। CAG তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মামলাকারী অজিতকুমার প্রসাদ।
ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। নির্বাচনী বিধি জারি হয়েছে বঙ্গে। মামলাকারীর দাবি, এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কাজ। অর্থাৎ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রকল্পে প্রায় দু’শো কোটি টাকা তছরূপ-সহ একাধিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ অজিতকুমার প্রসাদের। বৃহস্পতিবার CAG তদন্তের দাবি জানিয়ে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন তিনি। আগামিকালই এই মামলার শুনানি।
২০২০ সালের শেষভাগে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, রাজ্যের প্রতিটি পরিবার বিনামূল্যে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হয় কাজ। জেলায় জেলায় দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করান আমজনতা। বহু মানুষ ইতিমধ্যেই কার্ডের সুবিধাও পেয়েছেন। অনেকে আবার নানা অভিযোগও তুলেছেন। হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এদিকে বিজেপির নেতা-কর্মীরা বারবার স্বাস্থ্যসাথীতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে নাশকতার ছক? মালদহ ও ভাঙড়ে বোমা, অস্ত্র উদ্ধার ঘিরে ছড়াল আতঙ্ক]
উল্লেখ্য, গত মে মাসের বিধ্বংসী আমফানে (Amphan) ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরির পর তাতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের নতুন তালিকা তৈরি করে পরিবার পিছু ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট ‘এগিয়ে বাংলা‘তে সাহায্য প্রাপকদের তালিকাও তুলে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। মামলা করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সবক’টি মামলা একসঙ্গে শুনানির পর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কতজনকে টাকা দেওয়া হয়েছে এবং কতজন টাকা পায়নি, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে সিএজি-কে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছিল হাই কোর্ট। এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে বিপাকে রাজ্য।