সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নওশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে এবার সরব ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি। হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “শেষ দেখে ছাড়ব। প্রয়োজনে কলকাতা অচল করে দেব।” পীরজাদার এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ধর্ম ও রাজনীতিকে মেশানো হচ্ছে বলে মন্তব্য কুণাল ঘোষের।
গত শুক্রবার রাত থেকে ভাঙড়ে গুলি চলাকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। শনিবার ধর্মতলায় দলীয় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। অভিযোগ, সেই সময় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। তার প্রতিবাদে ধর্মতলায় অবরোধ শুরু করে আইএসএফ। ব্যস্ততম রাস্তায় অবরোধ হঠাতে এগিয়ে আসে পুলিশ। তারপর আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ কার্যত খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। জখম হন বউবাজার থানার ওসি এবং অ্যাডিশনাল ওসি। পুলিশ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ মোট ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে ১৮ জনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অধ্যাপক নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি]
বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি। এদিন একটি বৈঠকের মাঝে তিনি বলেন, “শেষ দেখে ছাড়ব। প্রয়োজনে কলকাতা অচল করে দেব।” তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পীরজাদার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “কলকাতায় অশান্তি হয়েছে। পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। এক বিধায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই ধর্ম আর রাজনীতিকে মেশানো ঠিক নয়।” এ প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজনৈতিক দলের নেতারা আন্দোলন করেন, গ্রেপ্তারও হন। দল তার বিরোধিতায় আন্দলনের পথেও হাঁটেন। তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু দেখতে হবে ধর্ম রাজনীতি যেন মিশে না যায়। পাশাপাশি বিধায়ক দিনের পর দিন এলাকায় ঢুকতে পারবেন না এটাও কাম্য নয়।”