সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারদিকে পাহাড়। আর তার মাঝে সবুজের আস্তরণ। পথের ক্লান্তি ভুলে একাকীত্বর আলস্যে নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়ার আদর্শ ঠিকানা কালুক (Kaluk)। পশ্চিম সিকিমের এই ছোট গ্রাম যাযাবর মনকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়, মেঘমুক্ত নীল আকাশের নিচে সবুজের হালকা থেকে গাঢ় ক্যানভাস, জলপ্রপাত আর সবুজ উপত্যকা— এই নিয়ে স্বর্গরাজ্য কালুক৷ এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ অসাধারণ৷ কোলাহলহীন নিস্তব্ধ পরিবেশ কালুককে আরও মায়াবী করে তুলেছে৷ কালুকই সিকিমের একমাত্র জনপদ যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ অন্য তুষারাবৃত্ত শৃঙ্গের প্রায় ১৮০ ডিগ্রি দিগন্ত বিস্তৃত রূপ দেখা যায়৷
[আরও পড়ুন: চেহারার কালো ছোপ দূর করতে পার্লারে ছুটছেন? ভুল করছেন না তো!]
কালুক যাওয়ার পথটিও মন কেড়ে নেবে। কারণ ছোট ছোট পাহাড়ি ঝরনা৷ নাম নাইবা জানলেন, দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। কালুক থেকেই আবার ঘুরে আসা যায় তাডং৷ দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার৷ এখান থেকে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ রূপ৷ এছাড়াও দেখা যায় রিসাম গুম্ফা৷ হাজারটা সিঁড়ি চড়ে তবে ওঠা যায় এই গুম্ফায়৷ তবে মনে রাখবেন এখানে গাড়ি চলে না, তাই ট্রেকিং করেই আসতে হবে নির্জন এই গুম্ফায়৷
কীভাবে যাবেন?
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রিন চেন পংয়ের দূরত্ব ১৫২ কিলোমিটার৷ পুরো গাড়ি ভাড়া করেও যেতে পারেন, অথবা শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার জিপে জোরথাং এসে সেখান থেকে রিন চেন পং চলে যান৷ রিন চেন পং থেকে কালুকের দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার৷ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালুক আসতে সময় লাগবে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা৷ গ্যাংটক থেকে আসতে সময় লাগবে ঘণ্টা পাঁচেক৷ বর্ষা এবং শীত এড়িয়ে সারা বছরই যাওয়া যেতে পারে কালুক৷ যখনই যাবেন সঙ্গে রাখুন হালকা শীতের পোশাক৷ থাকার জন্য কালুকে আছে বিভিন্ন বাজেট এবং গুণমানের হোটেল-রিসর্ট৷