সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৮ বছরের মার্কিন ছেলে বন্দুক হাতে তুলেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। টেক্সাসের (Texas) উভালডে এলাকার প্রাথমিক স্কুলে নির্বিচার গুলি চালিয়ে খুন করে ফেলেছে ২১ জনকে। যার মধ্যে উনিশজনই ছাত্রছাত্রী। ঘটনা এতই শিহরণ জাগানো যে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। বলা হচ্ছে, এক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। যদিও এহেন নৃশংসতার পর পুলিশের গুলিতে (Shooting) নিহত হয়েছে হত্যাকারী সালভাদোর রামোসও। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সকলের চোখ খলনায়ক হয়েছে রামোস। তবে ‘অপরাধী’ ছেলের মা কিন্তু বলছেন অন্য কথা। তাঁর সাফ দাবি, ”ওকে ক্ষমা করে দিন, ওর গুলি চালানোর নেপথ্যে কারণ ছিল। যে ছোটরা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। এভাবে ওর বিচার করবেন না।” স্পষ্টতই তাঁর এহেন কথা শুনে তাজ্জব ক্ষুব্ধ সন্তানহারা অভিভাবক।
গুলিতে ২১ জনের দেহ ঝাঁজরা করে দেওয়া ১৮ বছরের সদ্য কিশোর রামোসকে নিয়ে মার্কিন পুলিশের (US Police) খানিকটা মাথাব্যথা তৈরি হয়েছে। যার জেরে পুলিশ কিছুটা বয়ান বদল করতেও বাধ্য হয়েছে। স্কুলে তাণ্ডব চালানোর কতক্ষণ পর পুলিশ তাকে নিকেশ করেছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। অভিভাবকরা পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন। তারই মধ্যে হত্যাকারীর মায়ের বয়ান পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলল নিঃসন্দেহে।
[আরও পড়ুন: ‘আমি নেই, ৪০% ভোট পেয়ে দেখান’, বাংলা ছাড়ার আগে সুকান্ত-শুভেন্দুদের চ্যালেঞ্জ দিলীপের]
শুক্রবার রামোসের মা আদ্রিয়ানা মার্টিনেজ এক সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে জানিয়েছেন, “আমাকে, আমার ছেলেকে ক্ষমা করে দিন। আমি জানি, ওর এই কাজ করার পিছনে কারণ ছিল। ওর বিচার এভাবে করবেন না। আমি শুধু সেসব ফুলের মতো শিশু, যারা প্রাণ হারাল, তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।” কী এমন কারণ, যার জন্য এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালাতে হবে? এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য মা বলছেন, “হয়ত ও ছোটদের কাছে যেতে চেয়েছিল, সংস্পর্শে থাকতে চেয়েছিল, যাতে অন্যান্য খারাপ বিষয়ের প্রভাব তার উপর না পড়ে। আমি আসলে ঠিক জানি না। ভাষা হারিয়ে ফেলছি।”
[আরও পড়ুন: ‘উনি অকৃতদার নন, অকৃতজ্ঞ’, শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের]
শুধু কি তাই? রব এলিমেন্টারি স্কুলে তাণ্ডব চালানোর আগে রামোস নিজের ঠাকুমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তিনি গুরুতর জখম বলে জানিয়েছেন তার দাদু। তাঁর আশঙ্কা, সামনে থাকলে হয়ত তাঁকেও গুলি করত রামোস। দাদু রোনাল্ডো জানাচ্ছেন, নিজের মায়ের সঙ্গে সমস্যা, স্কুল ড্রপআউটের পর থেকে রামোস তাঁদের বাড়িতেই থাকত। ছেলের এই হিংস্র কাণ্ডের পর বাবা অবশ্য বলছেন অন্য কথা। তিনি এতটাই ব্যথিত যে এই ‘বলে বিলাপ করছেন, এর আগে তাঁকে কেন মেরে ফেলা হল না। বলছেন, “আমি বরাবর অস্ত্রবিরোধী। আর আমার ছেলেই অস্ত্র হাতে তুলে এতজনের প্রাণ কাড়ল!” সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে মার্কিন মুলুকে আলোচনার কেন্দ্রে সদ্য আঠারোর হত্যাকারী রামোসের প্রকৃতি ও তার মায়ের বয়ান।