নব্যেন্দু হাজরা: আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির অনুমোদনের সময়সীমা শেষ। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত শেষ অনুমোদন দেওয়ার কাজ চলেছে। নবান্ন সূত্রে খবর, ৯৭ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাকি রয়েছে তিন শতাংশ। তার অধিকাংশই জমিহীন বলে দেওয়া যায়নি। তাঁদের ক্ষেত্রে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনুমোদনের সময় রয়েছে।
জানা গিয়েছে, সব থেকে বেশি বাড়ির অনুমোদন বাকি রয়েছে বিহারে। তারপর কর্নাটক, গুজরাট, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং অসম। অর্থাৎ বাড়ির অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অনেক পিছিয়ে বিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্য। বাড়ির অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে কেরল, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলো অবশ্য পুরোপুরি কোটা শেষ করেছে।
[আরও পড়ুন: ‘শেয়ার বাজারে ধস, সরকার প্রায় পড়ে যাচ্ছিল’, আদানি ইস্যুতে বিস্ফোরক মমতা]
এরাজ্যে আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির কথা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বাড়িগুলোর অনুমোদনের কাজ শেষ করতে হবে। তারপর আর নতুন কোনও বাড়ির অনুমোদন দেওয়া যাবে না। সেইমতো ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টায় কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হয়। নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, রাজ্যের যে ৩ শতাংশ অনুমোদন বাকি, তাঁদের বেশিরভাগেরই জমি নেই বলে। সেই জমির সংস্থান সরকার করে তার কাগজপত্র ৩১ মার্চের মধ্যে জমা করলে সেগুলোও অনুমোদন পেয়ে যাবে। আবাসের কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বারবার কেন্দ্রীয় দল এরাজ্যে এসেছে। একাধিক জেলায় ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়েছে। কিন্তু তার পরও বড় কোনও অনিয়ম খুঁজে পায়নি। স্বচ্ছতার সঙ্গে এগিয়েছে আবাসের কাজ।
নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, শেষ সাত দিনে পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে ১২ হাজারেরও বেশি বাড়ি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যাঁদের সামান্য কিছু সমস্যার জন্য অনুমোদন আটকে ছিল, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমস্যা মিটিয়েছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকরা। তারপর দেখা গিয়েছে, ৩ শতাংশ মতো অনুমোদন বাকি রয়েছে। অনুমোদন না পাওয়ার ক্ষেত্রে শতাংশের হিসাবে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ বাংলার অনেকটাই আগে। এক শীর্ষকর্তার কথায়, কেন্দ্র যা বরাদ্দ করেছে, সেই অনুযায়ী যে সংখ্যক বাড়ি বানানোর কথা সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাবে রাজ্য। কারণ যে অংশটুকু বাকি তা খুবই সামান্য।