shono
Advertisement

সম্পূর্ণ ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া, ফ্রান্সের নাগরিকত্ব চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাবা

গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষেই মত দিয়েছিলেন স্ট্যানলি জনসন।
Posted: 08:45 AM Jan 02, 2021Updated: 09:48 PM Jan 02, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০। লন্ডন শহরের ঐতিহ্যশালী বিগ বেনের কাঁটা ১১টা ছুঁতেই সম্পূর্ণ হয়েছে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া। দীর্ঘ টানাপোড়েনে ইতি টেনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) ছেড়ে বেরিয়ে আসে ব্রিটেন। ফলে নতুন বছর থেকে ব্রাসেলসের আর কোনও আইন বলবৎ থাকল না ব্রিটেনে। কিন্তু এই গোটা পর্বে ‘নাখুশ’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাবা স্ট্যানলি জনসন। এবার ফ্রান্সের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে চলেছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ইচ্ছে করে করোনা ভ্যাকসিনের ৫০০ ডোজ নষ্ট! আমেরিকায় গ্রেপ্তার হাসপাতালের কর্মী]

স্ট্যানলির এহেন সিদ্ধান্তের কারণ কী? এর উত্তর হচ্ছে, ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আইনত বেরিয়ে এসেছিল ব্রিটেন। তবে ব্রাসেলসের সঙ্গে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনার জেরে প্রক্রিয়াটির চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছতে সময় লাগছিল। তবে সম্প্রতি সেই বাধা কেটে গিয়েছে। গত বুধবার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন। এর ফলে, ব্রিটিশ জনতার ‘চাকরি’ ও অর্থনীতি ‘স্বাধীন’ হলেও ২৭টি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং ব্রিটেনের নাগরিকদের মধ্যে মুক্ত যাতায়াত এ বার থেকে অতীত। ব্রিটেন থেকে আয়ারল্যান্ড ছাড়া বাকি দেশগুলিতে সফরের ক্ষেত্রে বদল ঘটল পাসপোর্ট এবং অভিবাসন নীতিরও। একইভাবে ব্রিটিশ নাগরিকদের অন্য ইউরোপীয় দেশে থাকার সময়সীমা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, বেশ কয়েক দশক পরে শুল্ক নজরদারিও ফিরতে চলেছে ব্রিটেনের সীমান্তে। এসব কারণেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্ট্যানলি জনসন। বলে রাখা ভাল, ২০১৬ সালে ব্রিটিশ জনতার মত (Referendum) নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। সেই গণভোটে ছেলের অবস্থানের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষেই মত দিয়েছিলেন স্ট্যানলি। তাঁর কথায়, “নাগরিকত্ব চেয়েছি মানে আমি ফরাসি হয়ে যাচ্ছি তেমনটা নয়। আমার মা ফ্রান্সের। ফলে আমি ফরাসি। আপনি কোনও ইংরেজকে বলতে পারেন না যে, তিনি ইউরোপীয় নন। আমি সবসময় ইউরোপীয় থাকব। একটি বাজার বা ইউনিয়ন থেকেও ইউরোপ অনেক বেশি কিছু।”

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ব্রিটিশ জনতার মত (Referendum) নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। সেই প্রক্রিয়ার নামই হচ্ছে ব্রেক্সিট (Brexit)। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টায় ‘ব্রেক্সিট’ কার্যকরী করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে বেরিয়ে যায় ব্রিটেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় ব্রেক্সিট বিল। এই বিচ্ছেদ কার্যকরী করতে বেশ কিছু শর্ত নিয়ে EU-এর সঙ্গে চুক্তি (Brexit withdrawal agreement) স্বাক্ষর করেন বরিস জনসন। আন্তর্জাতিক আইন মতে ওই চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য দু’পক্ষই।

[আরও পড়ুন: ইচ্ছে করে করোনা ভ্যাকসিনের ৫০০ ডোজ নষ্ট! আমেরিকায় গ্রেপ্তার হাসপাতালের কর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement