সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে দাঁড়িয়ে রাম মন্দির নির্মাণের ট্রাস্ট তৈরির কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছরের ৯ নভেম্বর অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণ তদারকির জন্য একটি বিশেষ কমিটি বা ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ অনুযায়ীই এবার পদক্ষেপ করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দিল্লি নির্বাচনের আর মাত্র তিন দিন বাকি। তার আগে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছে। যদিও দিল্লি নির্বাচন কমিশনের তরফে সেই দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, স্বায়ত্বশাসিত ওই ট্রাস্টে ১৫ জন ট্রাস্টি থাকবেন। যাদের মধ্যে একজন দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি থাকবেন।
বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠকের সেরে সংসদে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালনে আমরা বড়সড় একটি পদক্ষেপ করেছি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে ক্যাবিনেট শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপনের বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এই ট্রাস্ট নতুন করে রাম মন্দির নির্মাণ ও এই সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।” প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই আদেশে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিটি রাম লাল্লার (শিশু রাম) নামেই বরাদ্দ হবে এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে একটি মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। উত্তরপ্রদেশ সরকার সেই জমি দিতে রাজিও হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ট্রাস্টে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন না।
[আরও পড়ুন : ‘আপের সঙ্গে ছেলের কোনও যোগ নেই’, দাবি শাহিনবাগে হামলাকারীর বাবার]
সংসদে দাঁড়েয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আসুন, আমরা সকলেই অযোধ্যায় এই রাম মন্দির নির্মাণকে সমর্থন জানাই।” সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন এই ভাষণ দিচ্ছেন, সেইসময় সরকার পক্ষের সাংসদদের দিক থেকে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি শোনা যায়। দিল্লি বিধানসভার আগে হাতে মাত্র আর তিনদিন। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজধানীর বিধানসভা নির্বাচনে এখনও ব্যাকফুটে বিজেপি। প্রচারের শেষল্যাপে কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, দিল্লির স্থানীয় ইস্যু বাদ দিয়ে গেরুয়া শিবির শাহিনবাগ-পাকিস্তান ইস্যুকে হাতিয়ার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চাইছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন রাম মন্দির নির্মাণ। তবে তাতে ভর করে কি আদৌ নির্বাচন বাজি জিততে পারবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
The post শিয়রে দিল্লি নির্বাচন, সংসদে রাম মন্দির নির্মাণ ট্রাস্ট তৈরির ঘোষণা মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.